জম্মু-কাশ্মীরের শোপিয়ানে সেনাবাহিনীর এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বুধবার সকালেও জম্মু-কাশ্মীরে জারি সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, দু’পক্ষের লড়াইয়ে খতম দুই জঙ্গি। তবে ওই জঙ্গিদের পরিচয় এখনও অবধি জানা যায়নি।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শোপিয়ানের দ্রাগদ এলাকায় অভিযান চালায় সেনাবাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে চলে চিরুনি তল্লাশি। এরপরেই সেনাবাহিনীর উপস্থিতির খবর পেয়ে গুলি চালায় জঙ্গিরা। সেখানেই খতম করা হয় দু’জনকে।

এখনও অবধি দু’জনের সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি। তবে ওই জঙ্গিদের নাম কী এবং কোন দলের সঙ্গে তারা যুক্ত তার খোঁজ শুরু হয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জম্মু-কাশ্মীরে একের পর এক হত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে। আতঙ্কে জম্মু-কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা কর্মরত মানুষগুলো। গোটা শোপর জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। এর পিছনে পাকিস্তান কমান্ডররাও যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই চার হত্যার তদন্তভার এনআইএর হাতে শঁপে দেওয়া হয়েছে। ফার্মাসিস্ট এমএন বিন্দরু, শিখ অধ্যক্ষ সুপিন্দর কৌর, শিক্ষক দীপক চাঁদ, বীরেন্দ্র পাসোয়ান, রাজা রাশি দেব এবং যোগীন্দর রাশি দেবের হত্যার তদন্ত করবে এনআইএ।

পাহাড়ের মেঘ ভাঙা লাগাতার বৃষ্টি, বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা

মনে করা হচ্ছে, পরিকল্পনা মাফিক জম্মু-কাশ্মীরে সংখ্যালঘুদের হত্যা করে বিশেষ বার্তা দিতে চাইছে জঙ্গি সংগঠনগুলি৷ এর পিছনে আইএসআই এর একটি বিভাগ কাজ করছে। সূত্রের খবর, এরা মূলত শ্রীনগর, বুধগাঁও, পুলওয়ামা, শোপিয়ান, অন্তনাগ থেকে একের পর অভিযান চালাচ্ছে।

২০১৯ সালের ৫ অগাস্টের পর দীর্ঘ সময় ধরে অবরুদ্ধ ছিল জম্মু-কাশ্মীর। গত কয়েকমাস ধরে পর্যটন বেড়েছে উপত্যকায়। এর মাধ্যমে উপত্যকার শান্তির বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একের পর এক হত্যা সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট