বাংলাদেশের হিংসার ঘটনার প্রভাব উপনির্বাচনে!

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সম্প্রতি মহাঅষ্টমীতে (Astami) বাংলাদেশের (Bangladesh) হিংসার ঘটনার প্রভাব পড়েছে ভারতবর্ষে (India)। পড়শি ঘটনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল করে সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে বিজেপি (BJP) সহ অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি৷ এপাড় বাংলায় সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) থেকে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মতো নেতারাও। কিন্তু এর প্রভাব কী উপনির্বাচনে পড়বে?

আগামী ৩০ অক্টোবর দিনহাটা (Dinhata), শান্তিপুর(Santipur), গোসাবা (Gosaba) এবং খড়দহে (Khardah) উপনির্বাচন (By_election) রয়েছে৷ এর মধ্যে সীমান্ত লাগোয়া দু’টি বিধানসভা কেন্দ্র হল শান্তিপুর এবং দিনহাটা। কয়েকমাস আগে বিধানসভা নির্বাচনে দুটি আসনেই জয়লাভ করেছিল বিজেপি (BJP)৷ সেবার মতুয়া সম্প্রদায়ের বেশীরভাগ ভোট পেয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক (Nishith Pramanik) এবং জগন্নাথ সরকার (Jagannath Sarkar)।

ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণে আগামী অধিবেশনেই নয়া বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র

এবার উপনির্বাচনের আগে বাংলাদেশের হিংসার ঘটনা এবং বিজেপির সমালোচনা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সারা রাজ্যে মমতার হাওয়া বইলেও ওই দুই কেন্দ্রে পুনরায় জয়লাভ করতে সক্ষম হবে বিজেপি৷ কারণ, সিএএ (CAA) প্রণয়নে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে(Narendra Modi) চিঠি দিয়েছেন জগন্নাথ সরকার৷ সেটাই বিজেপির পালে হাওয়া দিতে পারে।

যদিও এই সবকিছুকেই পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল (TMC)৷ বরং তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কথায়, বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি (BJP)। হিন্দুদের কষ্ট ভাঙিয়ে খেতে চাইছেন বিজেপি নেতারা।

চারটি কেন্দ্রের উপনির্বাচনকে মাথায় রেখে চলছে জোর কদমে প্রচার৷ সুষ্ঠুভাবে ভোট করাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন। একের পর এক বিধায়ক তৃণমূলে যাওয়ার পরে কী অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে বিজেপি? উঠছে প্রশ্ন৷

সম্পর্কিত পোস্ট