দুর্বিসহ রাতের অভিজ্ঞতা যেন আরও জয়ের খিদে বাড়িয়েছে আফগানদের

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: সোমবারের সন্ধাতেই বিশ্বযুদ্ধের (Worldcup) লড়াইয়ে শামিল হয়েছে ১১ জনের প্রতিনিধি দল৷ চোখে অনেক বড় স্বপ্ন। এই তো কয়েক মাস আগে যখন রাতের বেলায় কয়েকজন বন্দুক উঁচিয়ে তারস্বরে চিৎকার করছিল তখন হা হুতাশ করছিল গোটা বিশ্ব। আজকে তাঁদের জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। না কোনও দেশের কাছে নয়। নিজেদের কাছে। নাম আফগান(afganistan)।

জোর করে পতাকা কেড়ে নেওয়ার সাহসিকতা যারা দেখিয়েছিল তারা আজ শিক্ষা পেয়েছে। দেশের প্রতি ভালোবাসা জাতীয় সঙ্গীতে চোখ ধুয়ে দিয়েছে। এক লহমায় সমস্ত কিছু ভুলে দেশের জন্য লড়াইয়ে নেমেছে ১১ জন আফগান প্রতিনিধি।

এই তো কয়েকমাস আগের কথা পিঁপড়ের সারীর মতো একে একে সকলেই প্রায় দেশ ছাড়তে শুরু করলেন। প্রাণ বাঁচানোর লড়াইয়ে প্রাণ হারালেন অনেকে। সেই দিনগুলো মহম্মদ নবী (Mahammad Nabi)জন্য ভোলার নয়। যখন অকাতরে প্রার্থনা করছিলেন দেশের জন্য।

কান্নায় আবেগঘন নবী শুধুমাত্র দেশের অধিনায়ক নয়, সারা বিশ্বের কাছে আফগানিস্তানের সেনাপতি। কিছুদিন আগেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে তাঁর কাঁধে। তাঁর এই আবেগঘন মুহুর্তে এগিয়ে এলেন সঙ্গীরা৷

এক যেন একতার অকৃত্রিম মুহুর্ত। পরে বললেন, “সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে দূরে রেখে বিশ্বকাপ জয় করতে চায়। এই মুহুর্তে আফগানিস্তানের কাছে একমাত্র খুশি হল ক্রিকেট(cricket)”।

সম্পর্কিত পোস্ট