Abhishek Banerjee in Tripura: মেলেনি মিছিলের অনুমতি, পথসভায় ছাড় ; তটস্থ প্রশাসন

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ  সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির পর রাতেই ত্রিপুরা যাওয়ার কথা ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে বিমান অবতরণের অনুমতি না মেলায় পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ সকালে আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অভিষেক। অন্যদিকে অনুমতি থাকা সত্ত্বেও বাতিল করা হয়েছে আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা।

আক্রান্ত দলীয় নেতা নেত্রী এবং কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে আগরতলায় পৌঁছচ্ছেন সাংসদ। দুপুর ১২টায়  আগরতলায় পথসভা করবে তৃণমূল। প্রতিবাদে সোচ্চার হবে রবিবারের তাণ্ডবের বিরুদ্ধে। বিকেল ৩ টের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় পৌরসভা নির্বাচন। তার আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংবাদিক বৈঠক এবং পথসভা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

আজ আগরতলা বিমানবন্দরে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখানে গণতন্ত্রের স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করা হচ্ছে। হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আসলে ওরা আগরতলার মানুষকে ভয় দেখাতে চাইছে। আমি বলব, যা বলার আমাদের বলুন। আগরতলার মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। তাঁদের এভাবে আক্রমণ করবেন না।’’

তৃণমূলের যুবনেতা সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তার করা প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘সায়নী কী এমন করেছিল যে ওকে গ্রেফতার করা হবে! স্লোগান দিয়েছিল। ‘খেলা হবে’ বলে স্লোগান দিয়েছিল। তেমন স্লোগান তো নরেন্দ্র মোদীও দিয়েছিলেন। তবে কি মোদীকেও গ্রেপ্তার করা হবে?’’

ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের ১৫ জন সাংসদ। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে ত্রিপুরার তাণ্ডবলীলার ঘটনার প্রতিবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তারা।এমনকি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছেও নালিশ জমা করতে পারেন তারা।

উল্লেখ্য রবিবার সকালে সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হোটেলে পৌঁছে যায় পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ। সেখানে তারা সায়নী ঘোষকে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন কুনাল ঘোষ সহ অন্যান্য তৃণমূলের নেতারা। এরপর সায়নী ঘোষকে নিয়ে হাজির হন থানায় তৃণমূল নেতৃত্ব। দীর্ঘক্ষন সায়নী ঘোষকে জেরা করার পর রবিবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয় তাকে।

প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। এখানেই শেষ নয় সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় থানায় ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ইটবৃষ্টি এবং লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। ভাঙচুর করা হয়েছে গাড়ি।

রাতেও একই রকমভাবে হামলা হয় পূর্ব আগরতলা থানায়। সাংবাদিকের উপর হামলা চালানো হয়। সুবল ভৌমিকের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বামেরাও।

সম্পর্কিত পোস্ট