লাগামহীন বিল, না মেটাতে পারায় রাতভর হাসপাতালে আটকে দেহ
সূত্রের খবর, শ্বাসকষ্ট ও ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে রোগীর বিল হয় ৮ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। তা সত্বেও বাঁচানো যায়নি রোগীকে। এই নিয়ে রোগীর পরিবারের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যাপক বচসা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ অতিরিক্ত বিল বাড়ানোর অভিযোগে উত্তেজনা ছড়ালো রঘুনাথপুরের বেসরকারী হাসপাতালে। পুরো বিল শোধ না করা পর্যন্ত দেহ আটকে রাখে হাসপাতাল। এই নিয়ে হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় মৃতের পরিবারের।
দুপুরে রোগী মারা গেলেও গভীর রাত পর্যন্ত রোগীর দেহ আটকে রাখে হাসপাতাল।
সূত্রের খবর, শ্বাসকষ্ট ও ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে রোগীর বিল হয় ৮ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। তা সত্বেও বাঁচানো যায়নি রোগীকে। এই নিয়ে রোগীর পরিবারের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যাপক বচসা হয়। ঘটনার তদন্তে নেমেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃরাতের মেচেদা লোকাল, ট্রাভেল ব্যাগ থেকে মিলল ক্ষতবিক্ষত দেহ
জানা গিয়েছে ২৯ জানুয়ারি নপাড়ার বাসিন্দা অনন্ত রায়(৫৩) শ্বাসকষ্ট ও ক্রিয়েটিনিন লেভেল বেড়ে যাওয়ায় ভর্তি করা হয় রঘুনাথপুরে ভিআইপির ধারের ওই বেসরকারি হাসপাতালে। তারপর থেকে বিল বাড়তে থাকলেও সুস্থ করে তোলা যায়নি রোগীকে।
অবশেষে মঙ্গলবার দুপুর বেলায় মারা যায় অনন্ত বাবু। রোগীকে ৮ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা বিল ধরানো হয়। দেখা যায় ১ লক্ষ বিল হয় বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার। ওষুধের বিল ধরানো হয় ৪ লক্ষ টাকার। প্রায় ৪.৫ লক্ষ টাকা বিল মেটানোর পরেও দেহ আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের।
খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দায়ের করা হয়েছে অভিযোগও। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।