৩৭৮ দিনের লড়াই সফল, বিজয় মিছিল করে ঘরে ফিরছেন কৃৃষকরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আন্দোলন স্থগিত করার কথা ঘোষণা করেছিলেন কৃষকরা বৃহস্পতিবার। ঠিক ছিল শুক্রবার বিজয় মিছিল করবেন তারা। কিন্তু মর্মান্তিক চপার দুর্ঘটনায় সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত সহ ১২ জন সেনার মৃত্যুর খবর আসার পর সিদ্ধান্ত বদল করেন কৃষকরা।
শনিবার বিজয় মিছিল করে সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজিয়াবাদ থেকে একে একে ঘরে ফিরে যাওয়া শুরু করলেন কৃষকরা। সিঙ্ঘু সীমান্তে অবস্থানকারী কৃষকরা কুণ্ডলী -মানেসার- পালওয়াল এক্সপ্রেসের কাছে বিজয় উৎসব পালন করেন। ভাংড়া নাচের পাশাপাশি এদিন স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। এরপরে ট্র্যাক্টরে চেপে পাঞ্জাবের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা।
টিকরি সীমান্তে অবস্থানকারী কৃষকরা বাহাদুরগড়ের কিসান চকে জমায়েত করেন সকালে। গাজিয়াবাদ সীমানায় আন্দোলনকারী কৃষকরা বিজয় মিছিলে শামিল হন। এতদিন আন্দোলন চলাকালীন গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছিল পুলিশ। এদিন ব্যারিকেড তুলে নেওয়ার কাজও শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
Omicron আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধমুখী, জারি দুদিনের লকডাউন
পঞ্জাব সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে দিল্লি সীমান্তে গিয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন হাজার হাজার কৃষক। দীর্ঘ এই আন্দোলনে গরম, ঠাণ্ডা এবং করোনাভাইরাসের আক্রমনে বহু কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসার পর কৃষকরা আন্দোলন তুলে নিয়েছেন। শনিবার থেকে তারা বাড়ি ফিরে যেতে শুরু করেছেন। ফলে পাঁচ রাজ্য ভোটের আগে স্বস্তিতে মোদী সরকার।
Protesting farmers at Tikri border dismantle their settlements as they vacate the area to return to their homes, following the suspension of their year-long protest. pic.twitter.com/hiZ8x9if32
— ANI (@ANI) December 11, 2021
কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে কৃষক নেতা গুরুনাম বলেন, যে কোনও মুহূর্তে ফের একবার শুরু হতে পারে কৃষক আন্দোলন। যদি না কেন্দ্র তার দেওয়া কথা না রাখে। আগামী ১৫ জানুয়ারি কৃষকরা আবার দিল্লিতে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করবে। সরকার যদি প্রতিশ্রুতি না রাখে তাহলে আমরা আবার বিক্ষোভ শুরু করতে পারি। ১০ ডিসেম্বর শোকদিবস পালন করা হবে। আর ১১ ডিসেম্বর থেকে আন্দোলনরত কৃষকরা সিঙ্ঘু সীমান্ত ছাড়তে শুরু করবেন। ১৫ ডিসেম্বর পঞ্জাবে সমস্ত কৃষক আন্দোলনের ইতি টানা হবে।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়াত জানান, “ইতিমধ্যেই কৃষকরা এলাকা ছেড়ে ঘরে ফিরতে শুরু করেছেন। সীমানা গুলি খালি হতে অন্তত তিন থেকে চার দিন সময় আরও লাগবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্য এলাকা পুরো ফাঁকা হয়ে যাবে।”