বড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরে, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ সহ-সভাপতির

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। পৌরসভা নির্বাচনের আগে তৃনমূলে যোগ দিলেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি ধর্তি মোহন রায়। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। গত বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে একপ্রকার নিষ্ক্রিয় হয়ে বসেছিলেন বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সহ সভাপতি ধর্তী মোহন রায়।

গত কয়েকমাস ধরে দলের সাথে দূরত্ব তৈরী করে তৃণমূলের সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন। রবিবার বিকেলে তৃনমুল জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের উপস্থিততে জলপাইগুড়ি তৃণমূল ভবনে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়ের হাত থেকে ফের তৃনমূলের পতাকা হাতে নিলেন একদা তৃণমূল নেতা তথা জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ধর্তী মোহন রায়।

এদিন তৃনমূলে যোগ দিয়ে ধর্তী বাবু বলেন আমি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবার পেছনে অবশ্যই কিছু কারন ছিলো। কিন্তু বিজেপিতে থাকা কালীন আমাকে একপ্রকার নিষ্ক্রিয় করে রাখা ছিল। আমি একপ্রকার গুরুত্বহীন ছিলাম। এছাড়া তৃনমুল ছাড়ার পর থেকে আমার তৃনমূলের পক্ষ থেকে লাগাতার যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। তাই আমি বিজেপি ছেড়ে আজ ফের তৃনমূলে যোগ দিলাম।

বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে আবেদনের মেয়াদ বাড়বে, ঘোষণা মমতার

ঘটনায় বিজেপি জলপাইগুড়ি জেলা সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী টেলিফোনে জানান ধর্তী মোহন বাবু তৃনমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তাই তিনি বিজেপিতে যোগ দেবার পর আমরা তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে তাকে জেলার সহ সভাপতি পদে নিয়েছিলাম। কিন্তু উনার ধারনা ছিল তাকে বিজেপি বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে টিকিট দেওয়া হবে। কিন্তু বিজেপি দলে এইভাবে টিকিট দেওয়া হয়না। এরপর টিকিট না পেয়ে একপ্রকার নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে গিয়েছিলেন। আমি শুনতে পেলাম আজ তিনি তৃনমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে তিনি দল ছেড়ে চলে যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবেনা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে ধর্তী মোহন রায় জলপাইগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃনমূলের টিকিটে লড়াই করেন। সেই সময় তার বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন ডক্টর সুখবিলাস বর্মা। ধর্তী বাবু সুখবিলাস বর্মার কাছে পরাজিত হন। সেইসময় তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন তৃনমূলের একাংশ কংগ্রেসের সাথে হাত মিলিয়ে তাকে হারিয়েছে। এরপর তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন

সম্পর্কিত পোস্ট