করোনা পরিস্থিতিতে কোষাগারে বাড়তি চাপ সামাল দিতে ব্যয় সংকোচ নীতি রাজ্যের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতির কারণে রাজ্যের কোষাগারের ওপর বাড়তি চাপ সামাল দিতে ব্যয় সংকোচ নীতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং নতুন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকার জন্য পরবর্তী নির্দেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত বাড়তি খরচে রাশ কার্যকর থাকবে বলে অর্থ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।
অর্থ দফতরের অনুমতি ছাড়া কোথাও নতুন নিয়োগ করা যাবে না। সরকারি দফতরে গাড়ি, কম্পিউটার–সহ তথ্য প্রযুক্তি সামগ্রী, আসবাবপত্র, এসি মেশিন, টিভি, ওয়াটার কুলার প্রভৃতি কেনা যাবে না ।নতুন নির্মিত স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, লাইব্রেরি ভবনের জন্য কিছু কেনার প্রয়োজন হলে অর্থ দফতরের অনুমোদন নিতে হবে।
এমনকী বিশেষ প্রয়োজনে নতুন গাড়ি ভাড়া নিতে গেলেও অর্থদফতরের অনুমোদন লাগবে বলে জানানো হয়েছে।এছাড়া আধিকারিকদের ঘর সংস্কার, সাজানোর উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সরকারি বৈঠকে খাওয়াদাওয়ার খরচ যথাসম্ভব কম রাখতে হবে। অফিসের কাজে বাইরে যাওয়ার খরচ কমানো হচ্ছে। বিমানে গেলে এগজিকিউটিভ ক্লাসে যাওয়া নিষিদ্ধ।
তৃণমূলের একসময়ের চাণক্য মুকুলের হল কী? ব্যাপারটা বেশ গোলমেলে কিন্তু
চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাড়ি তৈরি ছাড়া অন্য কোনও কারণে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলা যাবে না। মোটর সাইকেল বা কম্পিউটার কেনার জন্য সরকারি কর্মীদের অগ্রিম টাকা নেওয়া বন্ধ থাকছে।
তবে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী–সহ সব সামাজিক প্রকল্পগুলিকে বিধিনিষেধের আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছে।কর্মীদের বেতন, ভাতা এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন এবং কেন্দ্রীয় প্রকল্প খাতে অর্থ বরাদ্দও বিধিনিষেধের বাইরে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য রাজ্যে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ২০২০ সাল থেকেই অর্থ দফতর সরকারি দফতরে ব্যয় সংকোচ নীতি চালু করে। বেশ কয়েক দফায় এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত জুলাই মাসে জারি হওয়া সর্বশেষ বিধি নিষেধের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। এবার অনির্দিষ্ট কালের জন্য এই বিধি নিষেধ জারি করা হল।