রাজীবের উত্তর খুঁজে পাচ্ছে না ত্রিপুরার বিপ্লব দেব সরকার

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক : বাংলার শাসক দল তৃণমূলে এখন ষড়সেনাপতির ভূমিকায় আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাদের পরবর্তী টার্গেট ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের যুদ্ধ। পরিচালনকারী প্রধান জেনারেল হিসেবে অভিষেক ভরসা রেখেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর।

সেই আস্থার মর্যাদা দিয়ে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিদিন আরেকটু শক্তিশালী করে গড়ে তুলছেন তিনি। তাঁর সামনে থেকে দেওয়া নেতৃত্বে উজ্জীবিত ত্রিপুরার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।

ত্রিপুরার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা হলেও সেখানকার গোটা রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখানে বসে অনুমান করা বেশ কঠিন। উত্তর-পূর্বের এই ছোট্ট রাজ্যটিতে বিজেপি বলতে গেলে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালাচ্ছে।

আর খাতায়-কলমে প্রধান বিরোধী দলের আসনে থাকা সিপিএম ভয়ে চুপ করে আছে। এদিকে সাধারণ মানুষ বিজেপির বিপ্লব দেব সরকারের হাত থেকে নিস্তার পেতে চান। বলতে গেলে তাদের একপ্রকার উদ্ধারকর্তা হয়েই ত্রিপুরায় অবতীর্ণ হয়েছে তৃণমূল।

কিন্তু তৃণমূলকে বিজেপি যে এক ইঞ্চিও জায়গা ছাড়তে রাজি নয় তা বিগত দিনের বেশকিছু ঘটনা থেকে দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। তৃণমূল সমর্থকদের মনোবল ভেঙে দিতে কী না করেছে তারা। তৃণমূল কর্মীদের ধরে মারধর, হাত-পা ভেঙে দেওয়া, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো সমস্ত পন্থা প্রয়োগ করেছে তারা।

বার্তা স্পষ্ট, তৃণমূল করলে প্রাণের ঝুঁকি আছে। এই অবস্থায় কে ত্রিপুরায় তৃণমূলের হাল ধরবে তা নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল নেতৃত্ব। সেই সময়ই বরাবরের লড়াকু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে ত্রিপুরার দায়িত্ব তুলে দেন অভিষেক। তিনি সেই গুরু দায়িত্ব গ্রহণ করে একেবারে তৃণমূল স্তরে থেকে দলের সংগঠন গড়ে তোলার কাজে হাত লাগিয়েছেন।

গত ২ জানুয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা সফরে যান। পুর নির্বাচনের সময় বিজেপি যে সমস্ত তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছিল তাদের অনেকের বাড়িতেই গিয়ে দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পুরো সময়টা তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজীব। বলা যেতে পারে তাঁর সুচিন্তিত মতামত মেনেই আহত কর্মীদের দেখতে গিয়েছিলেন অভিষেক।

তিনি ফিরে আসার পর গত ৫ জানুয়ারি বিপ্লব দেব সরকারের অপশাসনের অবসানের দাবিতে রাজীবের নেতৃত্বে আগরতলায় রাজভবন অভিযান করে তৃণমূল। একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে বিজেপির চোখে চোখ রেখে এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন রাজীব।

রাজ্যের এই প্রাক্তন মন্ত্রী ত্রিপুরায় যেভাবে একেবারে নিচের স্তর থেকে তৃণমূলের সংগঠন তৈরীর কাজ করছেন তাতে গভীর চিন্তায় পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তারা ভেবে পাচ্ছে না কিভাবে এর জবাব দেবে।

সবকিছু দেখে একটা কথা বলাই যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থার যোগ্য মর্যাদা রাখছেন রাজীব। আগামী দিনে হয়তো বিপ্লব দেব সরকারের পতনের প্রধান কাণ্ডারী হিসেবে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে!

সম্পর্কিত পোস্ট