ছোট ছেলের রাজ সম্মান কেড়ে নিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ!
বৃহস্পতিবারের রানি নিজেই তাঁর প্রিন্স খেতাব কেড়ে নিলেন। তাই এখন থেকে তিনি শুধুই অ্যান্ড্রু!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মার্কিন নাবালিকার সঙ্গে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মামলায় জোর ফেঁসেছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছোট ছেলে অ্যান্ড্রু। এতদিন রাজপরিবারের প্রথা মেনে তাঁকে প্রিন্স অ্যান্ড্রু বলা হতো। কিন্তু বৃহস্পতিবারের রানি নিজেই তাঁর প্রিন্স খেতাব কেড়ে নিলেন। তাই এখন থেকে তিনি শুধুই অ্যান্ড্রু!
এক মার্কিন মহিলা বছরখানেক আগে অভিযোগ করেন তিনি যখন নাবালিকা ছিলেন সেই সময় জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করেছিলেন প্রিন্স চার্লসের এই ভাই। তাঁর বিরুদ্ধে বিকৃত কামের অভিযোগও ওঠে। যদিও গোড়া থেকেই যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করার চেষ্টা করে এসেছেন অ্যান্ড্রু। সম্প্রতি তিনি দাবি করেছিলেন এক বিশেষ অসুখের জন্য দীর্ঘদিন তার কোনও ঘাম হয় না, তাই অভিযোগকারীর দাবি অনুযায়ী তার শরীরের ঘামে ভিজে যাওয়ার মতো কোনও ঘটনাই বাস্তবে ঘটেনি।
এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই অ্যান্ড্রুর আইনজীবীরা মার্কিন কোর্টে জোরদার সওয়াল করেন। কিন্তু বিচারক মোটেও ব্রিটিশ রাজ পরিবারের এই সদস্যের আইনজীবিদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। এরপরই রাজপরিবারের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে বৃহস্পতিবার কড়া সিদ্ধান্ত নেন রানি।
ওবিসি ক্ষত সামলাতে তড়িঘড়ি আপনা দল, নিশাদ পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতায় বিজেপি
বাকিংহাম প্যালেসের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিউক অফ ইয়র্কের খেতাব কেড়ে নেওয়া হচ্ছে অ্যান্ড্রুর কাছ থেকে। তিনি বৃটিশ সেনার আর কোনও পদে থাকতে পারবেন না। পাশাপাশি রাজপরিবারের সমস্ত সরকারি দায়িত্ব থেকেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। রানির জারি করা বিবৃতিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে আগামী দিনে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবেই যৌন কেলেঙ্কারীর মামলা সামলাতে হবে অ্যান্ড্রুকে। তাঁকে আর ‘হিস রয়্যাল হাইনেস’ বলে সম্বোধন করা হবে না।
নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে ব্রিটিশ রাজপরিবারের এই কড়া সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। প্রেমকে স্বীকৃতি দিতে গিয়ে সিংহাসন ছেড়ে ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের দাদা। বছরখানেক আগে প্রিন্স হ্যারি রাজপরিবার থেকে স্বেচ্ছায় পৃথক হয়ে যান। কিন্তু যৌন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে গিয়ে রাজ সম্মান হারানোর ঘটনা ব্রিটিশ রাজপরিবারে অতীতে ঘটেছে কিনা সেটাই এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।