টিকা নিতে অনীহা পড়ুয়াদের, কারণ অনুসন্ধানে তৎপর স্বাস্থ্য দফতর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের করোনা টিকাকরণের কাজে আরও গতি আনতে উদ্যোগী হচ্ছে রাজ্য সরকার। এই বয়সী ছেলেমেয়েরা যাতে ভয় কাটিয়ে সার্বিক ভাবে টিকাকরণ কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে সেজন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
১৮ উর্দ্ধদের করোনা টিকাকরণে যথেষ্ঠ সাফল্যের সঙ্গেই এগিয়েছে রাজ্যে। কিন্তু চলতি মাসের গোড়ায় শুরু হওয়া ১৫-১৮ বয়সীদের টিকাকরণের কর্মসূচি চলছে ঢিমে তালে। সরকারের তরফে সচেতনতা প্রচার করলেও কিংবা টিকাকরণের প্রক্রিয়ায় উদ্যোগী হলেও মুখ ফেরাচ্ছে স্কুল পড়ুয়ারা।
পরিসংখ্যান বলছে, ১৫-১৭ বছর বয়সী ২৩ লক্ষ কিশোর-কিশোরীর টিকা হয়েছে। বকেয়া টিকা প্রাপকের সংখ্যা ২৫ লক্ষ। গড়ে ১ লক্ষ টিকাকরণ হলেও সংখ্যাটা ৩০ লক্ষ পার হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যাচ্ছে না কেন তার কারণ অনুসন্ধান করছে স্বাস্থ্য দফতর।
পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে কোনওদিন ১০ হাজার আবার কোনওদিন ১ লক্ষ আবার ২ লক্ষও টিকাকরণ হয়েছে। কিন্তু পড়ুয়াদের মধ্যে টিকা নেওয়ায় অনীহা তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবনের পর্যবেক্ষণ, যখন এই কর্মসূচি শুরু হয়েছিল, তখন কেবল ৯০০ টি সেন্টার ছিল। যা দিনে দিনে বাড়ার কথা থাকলেও সেটা হয় নি। রাজ্যে মোট ৪৮ লক্ষ স্কুল পড়ুয়া রয়েছে সরকারি হিসেবে।
পরিবর্তনশীল তৃণমূলে ‘অভিষেক মেডিসিন’, আতঙ্কিত বহু নেতা
যাদের জানুয়ারি মাসেই অন্তত একটি ডোজ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছিল স্বাস্থ্য ভবন। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব নয় বলেই জানা যাচ্ছে। কিন্তু এর পিছনে কারণ কী? স্বাস্থ্য ভবনের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে স্কুল ছুট পড়ুয়াদের কথা। দীর্ঘ লকডাউন ও স্কুল বন্ধের জন্যই স্কুল ছুট বেড়ে গিয়েছে। যার সঠিক পরিসংখ্যান নেই এখনও সরকারের কাছে।
সঙ্গে যোগ দিয়েছে টিকাকরণ নিয়ে বিভ্রান্তি। করোনার তৃতীয় ঢেউতে সংক্রমণের গ্রাফ বাড়লেই ক্ষতির হার কম। তাই টিকা নেওয়ার প্রবণতাও কম দেখা যাচ্ছে স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে। এই বিষয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করে বেশ কিছু নির্দেশ দেবেন স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা, এমনটাই জানা যাচ্ছে।