Navjot Singh Sidhu : ক্ষমতার লড়াইয়ের পর এবার সিধুকে নিয়ে আইনের টানাটানি, কংগ্রেসের মাথাব্যথার যেন শেষ নেই
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পুরনো খুনের মামলার শুনানি হবে সর্বোচ্চ আদালতে আর তাতেই অস্বস্তিতে কংগ্রেস। কিন্তু খুনের মামলার সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক কোথায় এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আসলে এই খুনের মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নভজোৎ সিং সিধু ( Navjot Singh Sidhu )।
আর তিনি ভোট মুখী পাঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর জন্যই মূলত দল ছেড়েছেন অমরিন্দর সিং। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় সিধুকে ( Navjot Singh Sidhu )নিয়ে ফের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে।
প্রায় ৩২ বছর আগে চণ্ডীগড়ে গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন সিধু ও রূপিন্দর সিং সান্ধু। সিধু ( Navjot Singh Sidhu ) ওই ব্যক্তির কানের গোড়ায় সজোরে এক থাপ্পড় মারেন। তাতেই গুরনাম সিং গুরুতর আহত হন বলে অভিযোগ।
Navjot Singh Sidhu
চণ্ডীগড়ের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ২০০৬ সালে সিধু ও রূপিন্দর সিং সান্ধুর ৩ বছরের কারাদন্ড ও ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানার রায় দিয়েছিল চন্ডিগড় হাইকোর্ট। সিধু তখন বিজেপির সাংসদ ছিলেন।
সেই সময় কংগ্রেস তাঁর বিরুদ্ধে তেড়ে-ফুঁড়ে ময়দানে নামে। মূলত তাদের চাপেই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। পরে সর্বোচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ সিধু ( Navjot Singh Sidhu ) ও রূপিন্দর সিং সান্ধুর সাজার মেয়াদ ১ বছর করে। সেইসঙ্গে উভয়কেই ১,০০০ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। সর্বোচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন ক্রিকেট থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া সিধু। ততদিনে তিনি আবার বিজেপি ছেড়ে পাঞ্জাব কংগ্রেসের অন্যতম মুখে পরিণত হয়েছেন।
সিধুর সেই আবেদনের শুনানিই হবে বৃহস্পতিবার। এদিনের শুনানীতে বিচারপতিরা কী মন্তব্য করেন সেই দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে পাঞ্জাবের প্রতিটি রাজনৈতিক দল। এমনিতেই সিধুকে নিয়ে কংগ্রেসে টানাপোড়েনের শেষ নেই। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলার শুনানি শুরু হওয়ায় বেশ চাপে পড়েছে তারা।