Jayprakash Majumdar : পদাঘাতে কচুবনে হামাগুড়ি দেওয়া জয়প্রকাশ ধীরে ধীরে তৃণমূলের দিকে ঝুঁকছেন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মহুয়া মৈত্র সাংসদ হওয়ার পর করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হয়েছিল। সময়টা ২০১৯। সদ্য রাজ্যের ১৮ টি লোকসভা দখল করে টগবগ করে ফুটছে বিজেপি। করিমপুরের উপনির্বাচনে তারা প্রার্থী করে দলের পরিচিত মুখ জয়প্রকাশ মজুমদারকে। প্রচার চলে জোরকদমে।
ভোটের দিন সকাল থেকে সে কী দাপট জয়প্রকাশের। কিন্তু করিমপুরের মানুষ এক বহিরাগতের এই লম্ফঝম্প মেনে নেবে কেন? ঠিক দুপুরের পর কথা কাটাকাটি চলার সময় এলাকাবাসীর পদাঘাত এসে পড়ল জয়প্রকাশ মজুমদারের পশ্চাদ্দেশে। অমনি হুড়মুড়িয়ে রাস্তার পাশের কচুবনে ঢুকে গেলেন এই বিজেপি নেতা! সেই ছবি গোটা রাজ্যজুড়েই ভাইরাল হয়েছিল।
তারপরে একাধিক ইস্যুতে রাজনৈতিক শালীনতা ভুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুৎসিত ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। বার বার ‘মাননীয়া’ বলে কটাক্ষ শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। কিন্তু বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়তেই হঠাৎ বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। এরপর দল থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হতেই গোটা প্রেক্ষাপট বদলে গেল। হঠাৎই নরম হয়ে গেলেন তৃণমূলের প্রতি।
হঠাৎ করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করতে শুরু করেছেন এই সদ্য বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা। তবে এক্ষেত্রে একদিনে সুর পাল্টাননি চতুর জয়প্রকাশ। বরং ধাপে ধাপে নিজের অবস্থান বদলেছেন।
তবে শুক্রবার যেভাবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে আক্রমণ করলেন তা হুবহু তৃণমূলের কথার সঙ্গে মিলে গিয়েছে! তিনি সরাসরি রাজ্যপালের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছে তবে কী জয়প্রকাশ তৃণমূলে আসার চেষ্টা করছেন? এর উত্তর জানার জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।