পুরভোটে তৃণমূলের নিশ্চিত জয়ে দাগ লাগাচ্ছেন উদয়নরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: উদয়ন গুহ, জাহাঙ্গির খানদের নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তাঁরা শাসকদল তৃণমূলের নেতা হলেও তেমন কোনও হোমরা-চোমরা নন। তবু ১০৮ টি পুরসভার মনোনয়ন জমার পর্ব শেষ হতেই নজর কেড়ে নিয়েছেন তাঁরা। আর এখানেই লুকিয়ে আছে তৃণমূলের বিপদ সঙ্কেত।
উদয়ন গুহর দায়িত্বে থাকা দিনহাটা পুরসভা ইতিমধ্যেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল করেছে তৃণমূল। কোচবিহারের আরেক পুরসভা মাথাভাঙাও বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় দখল করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে উদয়ন বাহিনী। এদিকে জাহাঙ্গির খানের দায়িত্বে থাকা বজবজেও একই ছবি। সেই পুরসভাও ইতিমধ্যে তৃণমূলের দখলে চলে গিয়েছে।
দিনহাটার ১৬ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭ টি তেই বিরোধীদের প্রার্থী ছিল না। স্ক্রুটিনিতে আরও দুই বিরোধী প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হতেই পুরসভা তৃণমূলের দখলে চলে আসে। বাকি ৭ টি ওয়ার্ডের বিরোধী প্রার্থীরা যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে সেই চেষ্টা করছেন উদয়ন। তাঁর এবার লক্ষ্য বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় মাথাভাঙা পুরসভা দখল করা।
সেই লক্ষ্যে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা করছে উদয়ন বাহিনী। চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা ভালোভাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। যদিও এখনও উদয়নের এই গুন্ডাগার্দির বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে চলেছে বিরোধীরা।
ঘটনাচক্রে কোচবিহারের হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এইরকম গায়ের জোরে পুরসভা দখলের পক্ষপাতী নন। তিনি নিজে এবার কোচবিহারে পুরভোটে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর এলাকায় বিরোধীদের সেভাবে কোনও সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি।
এদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের ২০ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২ টি ওয়ার্ড বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিল তৃণমূল। সূত্রের খবর বাকি ৬ টি ওয়ার্ড থেকে সিপিএম প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করবে তারা। তবে দুটি ওয়ার্ডে তৃণমূলই চাইছে নির্বাচন হোক।
যদিও তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরা কেউই চান না বিরোধীদের ওপর জোর জুলুম করা হোক। তাঁরা রাজ্যের সর্বত্র গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে চান।
কিন্তু উদয়ন গুহদের মতো ভিন দল থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসারা ক্ষমতার লোভে দলকে ব্যবহার করছেন। এতে তৃণমূলেরই বদনাম হচ্ছে। এতে পুরভোটে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত থাকা সত্ত্বেও উদয়নদের আচরণে তাতে দাগ লেগে যাচ্ছে!