তৃণমূল ঝড়ে ‘থার্ড বয়’ বিধায়ক!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ একেই বোধহয় বলে ভাগ্য দেবতার নির্মম পরিহাস! মাত্র ৯ মাস আগে তিনি বিপুল ব্যবধানে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন। কিন্তু এবারের পুরনির্বাচনে নিজের ঘরের মাঠেই হেরে গেলেন! শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের কথা বলছি আমরা। শুধু হেরেই গেলেন না, বরং পর্যদুস্ত হয়ে একেবারে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছেন তিনি।
শিলিগুড়িতে সিপিএমের তরুণ মুখ হিসেবে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছিল শঙ্কর ঘোষের। ২৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতে অশোক ভট্টাচার্যের পুরবোর্ডে মেয়র পারিষদ হয়েছিলেন। আড়ালে আবডালে অনেকেই বলতেন অশোকের পর শিলিগুড়ি শাসন করবেন শঙ্কর।
কিন্তু তর সয়নি এই তরুণ নেতার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়িতে সিপিএম ফের অশোক ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করতেই রাজনৈতিক ভবিষ্যতের সুলুক সন্ধানে শিবির বদলে বিজেপিতে যোগ দেন।
১৯ এর লোকসভা নির্বাচনেই বোঝা গিয়েছিল শিলিগুড়ি ক্রমশ বিজেপির দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু পরিচিত মুখের অভাবে বিধানসভায় আদৌ শিলিগুড়ি জিততে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে ছিল বিজেপি। তাই শঙ্কর ঘোষ দলে আসতেই হাতে চাঁদ পায় গেরুয়া শিবির। বিধানসভায় তাকেই প্রার্থী করে।
অবশেষে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল
বিধানসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক গুরু অশোক ভট্টাচার্যকে তিন নম্বরে ঠেলে দিয়ে বিধায়ক হন শঙ্কর ঘোষ। পরে বিজেপি তাঁকে রাজ্য কমিটির অন্যতম সহ-সভাপতি করে। এবারের পুরনির্বাচনে শঙ্করকে নিজের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডেই প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির। মুখে কিছু ঘোষণা না করলেও মোটামুটি ঠিক ছিল বিজেপি শিলিগুড়ি দখল করলে শঙ্করই মেয়র হবেন।
কিন্তু ভোটের ফল বের হলে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী প্রতুল চক্রবর্তী ২,০৮৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর থেকে মাত্র ১১ টি ভোট কম পেয়ে পরাজিত হয়েছেন নির্দল প্রার্থী তথা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা বিকাশ রঞ্জন সরকার। অপরদিকে এই ওয়ার্ডের হেভিওয়েট বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর ঘোষ ১,৬১৩ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে দৌড় শেষ করেন!
এই ফলে শঙ্কর নিজেও হতবাক। নিজেই বলছেন এমন ফল হবে স্বপ্নেও ভাবেননি। কি কারণে হারলেন তা পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।