কাঁথির সাম্রাজ্য ধরে রাখতে পারবে অধিকারীরা? নাকি ছিনিয়ে নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ সাড়ে তিন দশকের বাম সরকারের পতন ঘটেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। এবার কি তিন দশকেরও বেশি পুরনো অধিকারী সাম্রাজ্যের পতন ঘটাবেন তৃণমূল নেত্রী? এর উত্তর জানতে আর একটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি আর অধিকারী পরিবার কখন যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ব্যাপক সাফল্যের মাঝেও কাঁথিতে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে সফল হয় অধিকারীরা। সেখানে তাদের এই দাপটের সূচনা হয়েছিল কাঁথি পুরসভাকে কেন্দ্র করে। শিশির অধিকারী দীর্ঘদিন কাঁথি পুরসভার প্রধান ছিলেন।
পরে শুভেন্দু, দিব্যেন্দু, সৌমেন্দু তাঁর তিন ছেলেরই রাজনীতিতে হাতেখড়ি এই কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর হিসেবে। ২০২০ এর শেষ পর্যন্ত কাঁথি পুরসভা অধিকারীদের হাতেই ছিল। এখানে তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠী দাঁত পর্যন্ত ফোটাতে পারতো না। সেই অধিকারীরা বিজেপির দিকে চলে যাওয়ার পরেও কাঁথিতে নিজেদের দাপট দেখিয়েছিল বিধানসভা ভোটে।
পাহাড় সুন্দরী দার্জিলিং কার পক্ষে থাকবে? গুরুং আজও প্রাসঙ্গিক কিনা জানা যাবে বুধবার
কিন্তু এবারের পুরভোটে সমস্ত অনুমান ব্যর্থ করে কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের কেউ প্রার্থী হয়নি। অথচ মনে করা হয়েছিল শিশির অধিকারীর ছোট ছেলে তথা কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমেন্দু অধিকারীকে মুখ করে এখানে লড়াই করবে বিজেপি।
শুধু তাই নয় বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও যথেষ্ট ক্ষোভ ছিল। প্রচার পর্বে বিজেপি-তৃণমূল একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ভোটের দিন বারে বারে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এই এলাকা। সৌমেন্দুর দিকে তেড়ে গিয়েছেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। যিনি আবার সম্পর্কে অধিকারীদের আত্মীয় হন!
ইতিমধ্যেই কাঁথি পুরসভার ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে আদালতে গিয়েছে অধিকারীরা। রাজনৈতিক মহলের ধারণা ভোটের দিন তৃণমূলের সঙ্গে পেরে না ওঠাতেই পুরসভা হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় আগেভাগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে অধিকারীরা।
যদিও আদালত এখনও এই বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি শেষপর্যন্ত অধিকারীদের থেকে কাঁথি ছিনিয়ে নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? কাঁথিতে কি ফল হয় সেই দিকে রবিবার রাজ্যবাসী অধীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকবে।