তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন পিকে, জানাচ্ছে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহল
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ এতদিন ছিলেন নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট। শুধুমাত্র বাংলা নয়, ভারতীয় রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুখ প্রশান্ত কিশোর। তাঁর স্ট্র্যাটেজিতে সদ্য দিল্লির বিধানসভায় নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ঠিক তেমনই বাংলার মাটিতে ক্ষয়িষ্ণু জমি ফিরে পেতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে তৃণমূলের এখন চালক আসনে রয়েছেন পিকেই। গুরুত্ব বেড়েছে। এবার তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সম্প্রতি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের প্রকাশ্যে বনিবনা লেগেই থাকত। বিহারের বিধানসভায় সিএএ বিরোধী আইন পাশ হলেও জনতা দলের ভুমিকা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন নির্বাচনী স্ট্র্যাটেজিস্ট। শেষমেশ গত মাসের শেষের দিকে তাঁকে জনতা দল ইউনাইটেড থেকে বহিষ্কার করতে বাধ্য হন নিতীশ কুমার। এনডিএ সঙ্গে ব্যালেন্স রাখতেই এই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এই সময়েই ফায়দা তুলতে চাইছে তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ ইয়েচুরি, কানহাইয়ার মতো সুবক্তা জরুরি রাজ্যসভায়, দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের
আগামী ২৬ শে মার্চ ৫৫ টি আসনের রাজ্যসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে বাংলা থেকে ৪ জনকে রাজ্যসভার প্রার্থী করতে পারবে তৃণমূল। সেখানেই প্রার্থী হিসাবে উঠে এসেছে প্রশান্ত কিশোরের নাম। এমনটাই তৃণমূল সূত্রের খবর।
লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফায়দা তুলে একের পর এক বিল পাশ করিয়ে এসেছে বিজেপি। তাই বিজেপিকে রুখতে উচ্চকক্ষে নিজেদের সংখ্যা বাড়াতে চায় বিরোধীরা। এমনিতেই বিজেপি সরকারের বিরোধিতায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক-ও-ব্রায়েনের ঝাঁঝালো বক্তব্য বহুবার সরকারপক্ষের ঘাম ছুটিয়েছে। তাই প্রশান্ত কিশোরের মত ভালো বক্তাকে রাজ্যসভায় এনে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের মাটি শক্ত করতে চায় তৃণমূল।
আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: গোটা দেশজুড়ে যা চলছে তা একেবারে কাম্য নয়ঃ ইউসুফ তারিগামি
যদিও তৃণমূলের তরফে এই তালিকায় রয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী, রত্না দে নাগ, মনীশ গুপ্ত এবং ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবার সিপি(আই)এমের টিকিটে সংসদের উচ্চকক্ষে যান ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৭ সালে দল তাঁকে বহিষ্কার করার পরেও এতদিন নির্দল হিসাবে রাজ্যসভায় বক্তব্য রেখছেন তিনি। ইদানিং তৃণমূলের সঙ্গে ঋতব্রতের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে এবার ঘাসফুলের চিহ্নে রাজ্যসভায় তিনি উপস্থিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যসভায় মনীশ গুপ্তের মেয়াদ শেষ হলেও তাঁকেই পুনরায় বাজি হিসেবে রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন কোনও নাম এর সঙ্গে যোগ হতে পারে। যদিও সবটাই তৃণমূল সুপ্রিমোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
৫৫ টি আসনের নির্বাচনে আদতে লাভ তৃণমূল এবং কংগ্রেসের হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড় থেকে কিছু আসন খালি হচ্ছে রাজ্যসভায়। এই রাজ্যগুলি থেকে ফায়দা তুলতে পারে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস। বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষুরধার বক্তব্য রাখার জন্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার নাম বারবার উঠে আসছে। উঠে আসছে দিগ্বিজয় সিং, মোতিলাল ভোরার নাম। এবিষয়েও কংগ্রেস হাইকম্যান্ড কি সিদ্ধান্ত নেন, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলেই।