Tripura CPM : মানিকের বদলে জিতেন্দ্রকে মুখ করার দাবি জোরাল হচ্ছে ত্রিপুরা সিপিএমে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগামী বছরের শুরুতেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। হাতেগোনা আর কটা মাস বাকি আছে। স্বাভাবিকভাবেই তাল ঠোকা শুরু করে দিয়েছে সব পক্ষ। তবে এবারের ত্রিপুরার নির্বাচন বহুমুখী প্রতিদ্বন্দিতায় রঙিন হয়ে উঠবে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের।
বিপ্লব দেবের বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে কিনা তা নিয়ে যেমন জল্পনা আছে, তেমনই প্রধান বিরোধী দল সিপিএম শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়াতে পারবে কিনা সেই নিয়েও কৌতূহল আছে রাজনৈতিক মহলে। সদ্য সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন শেষ হয়েছে। সেখানে অস্থায়ী দায়িত্বের পর স্থায়ী রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন জনজাতি মুখ জিতেন্দ্র চৌধুরী।
অর্থাৎ বার্তা স্পষ্ট, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে সামনে রেখেই বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবে বামেরা। মানিক সরকারের ব্যক্তিগত স্বচ্ছ ভাবমূর্তি নিয়ে কারোর মনে কোনও প্রশ্ন নেই। তিনি দীর্ঘদিন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী দায়িত্ব সামলে এসেছেন। এই মুহূর্তে তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য। তবে সিপিএমের অন্দরের যে মানিক বিরোধিতার একটা চোরা স্রোত বয়ে যাচ্ছে তা কান পাতলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। সিপিএমের একাংশের অভিযোগ, বিপ্লব দেব সরকারের অপশাসন ও গুন্ডাগারদির বিরুদ্ধে যতটা সরব হওয়া উচিত ছিল ততটা সরব নন মানিক।
বসন্তের বিকেলে রাজীবের অভিযোগের রং মোটা দাগ ফেলতে পারে শুভেন্দুর রাজনৈতিক কেরিয়ারে
তাঁকে সেভাবে পথে দেখা যাচ্ছে না। ময়দানে নেমে বিজেপির মুখোমুখি বিরোধিতার ক্ষেত্রে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের লাগাম টেনে ধরেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। বাংলায় বসে অনেকেই হয়তো ভাবেন, মানিক সরকার ছাড়া ত্রিপুরায় সিপিএমের আর কে আছেন? এই ধারণা কিন্তু ঠিক নয়।
দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী একসময়ে রাজ্যের মন্ত্রী ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি সাংসদ হিসেবে লোকসভায় ত্রিপুরার দাবি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। বস্তুত সিপিএমের একাংশ জিতেন্দ্র চৌধুরীকে পরিষদীয় রাজনীতির মুখ করে ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার পরিকল্পনা করছিল।
কিন্তু আচমকাই গৌতম দাশের মৃত্যুতে রাজ্য সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে দক্ষ সংগঠক জিতেন্দ্র চৌধুরীকে পরিষদীয় রাজনীতির পরিবর্তে দলের হাল ধরতে দেওয়া হয়।
সিপিএমের একটি অংশের মতে জিতেন্দ্র চৌধুরীকে মুখ করে বিধানসভা নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়লে দলের লাভ বেশি হতো। কারণ তাতে জনজাতিদের সমর্থন অনেকটাই ফিরে পাওয়া যেত। এছাড়া রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী তথা বিধানসভার প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ পবিত্র করের নামক এই তালিকায় রাখা যেতে পারে।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পবিত্র কর লড়াকু নেতা বলেই পরিচিত। বর্তমানে মাঠে ময়দানে মূলত তাঁর অনুগামীরাই বিজেপির চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন। এই অবস্থায় আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনে মানিক সরকার যদি দলকে ভালো ফল দিতে না পারেন তবে পার্টির অভ্যন্তরে যে বেকায়দায় পড়বেন তা বলাই বাহুল্য।