বিরোধী গড় বলে বাংলায় আদৌ কি কিছু আছে? দিলীপ-শুভেন্দুরা কি ‘কাগুজে বাঘ’!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ ৩৪ বছরে বাম শাসনে বাংলার বিরোধীরা কখনোই ক্ষমতা দখলের ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি। তবে তারা যে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল তা কিন্তু নয়। বরং রায়গঞ্জ, বহরমপুর, মালদহ, সবং, খড়্গপুর, কাটোয়া, শান্তিপুর, দক্ষিণ কলকাতা এরকম বেশ কিছু লোকসভা ও বিধানসভা কেন্দ্রে ভিত্তিক পকেটে বিরোধীদের প্রশ্নাতীত দাপট ছিল।
প্রথমে কংগ্রেস এবং পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেস এই এলাকাগুলিতে একচেটিয়া প্রভাব ধরে রাখে। রাজ্যে ক্ষমতায় থেকেও বামেরা এই সমস্ত এলাকার মহীরুহ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, অধীর চৌধুরী, বরকত গনি খান চৌধুরী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়দের টলাতে পারেনি। কিন্তু বর্তমানে বিরোধী গড় বলে বাংলায় আদৌ কি কিছু আছে?
বাংলার বিরোধী শিবিরের বর্তমান হেভিওয়েট নেতা হলেন শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষরা। অবশ্যই এই তালিকা থেকে অধীর চৌধুরীর নাম বাদ দিলে চলবে না। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত পুরসভা নির্বাচনে দেখা গেল গোটা এলাকা দুরস্ত, নিজেদের ওয়ার্ড এমনকি নিজেদের বাড়ি যে বুথে সেখানেও দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে পারেননি দিলীপ-শুভেন্দুরা। খড়্গপুর থেকে কাঁথি, সর্বত্র কুপোকাত হয়ে গিয়েছেন বিজেপির এইসব তথাকথিত হেভিওয়েট নেতারা।
ফের মৃণাল! গৌতমকে খুশি করতে গিয়ে উত্তরে আত্মঘাতী হল আলিমুদ্দিন?
এদের দেখলে আর যাই হোক বাম জামানার বিরোধী নেতাদের ছায়া বই অন্য কিছু বলা সম্ভব নয়। কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর বর্তমান হাল একইরকম। তবু তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করার চেষ্টা করছেন।
এই যায়গায় তিনি দিলীপ-শুভেন্দুদের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে আছেন। অধীর একা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে তৃণমূলের প্রবল আক্রমণের মধ্যেও বহরমপুরে ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলরকে জিতিয়ে এনেছেন। অথচ বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর এই কেন্দ্রে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছিল কংগ্রেস।
কেউ কেউ কটাক্ষ করে বিজেপির এইসব তথাকথিত হেভিওয়েট নেতাদের কাগুজে বাঘ বলে ডাকছেন! অতীতের অভিজ্ঞতাকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি তুমি নিজের এলাকাকে ঘাঁটি বানিয়ে তুলতে না পার, তবে আধুনিক রাজনীতিতে তোমার অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বেই। তবে কি দিলীপ-শুভেন্দুদের অস্ত যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে? এর উত্তর সময়ই দেবে।