বিধানসভায় বাজেট আলোচনার জবাবী ভাষণে কেন্দ্রকে নিশানা অর্থমন্ত্রীর
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ জিএসটি ক্ষতিপূরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রকল্পের পাওনা মেটানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যেকে বঞ্চিত করছে বলে রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন। রাজ্য বিধানসভায় আজ বাজেট আলোচনার শেষে জবাবী ভাষণে তিনি বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৯০ হাজার কোটি টাকা প্রাপ্য বকেয়া রাখার অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন করোনা পরিস্থিতিতে সব রাজ্যেই জিএসটি বাদে সমস্ত রাজস্ব আদায় মার খেয়েছে।অথচ জিএসটি ক্ষতিপূরণের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও নীরব কেনো তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল নিয়েও বিরোধীদের সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
পাশাপাশি তিনি প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদ কমানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তেরও তীব্র প্রতিবাদ জানান। বিরোধী দলের বিধায়করা বাজেটে উত্তরবঙ্গকে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন, সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে অর্থ দফতরের সদ্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গের বিধায়করা বলছেন উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন হচ্ছে না। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের দফতরের বরাদ্দ হয়েছে ৭৯৭.৪২ কোটি টাকা।
Telemedicine Service : আরও ২৪০০-র বেশি সরকারি হাসপাতালে চালু পরিষেবা
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ হচ্ছে। ৫১৮.২৯ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে মালদা, কোচবিহার। কোচবিহার, রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজের অনেক কাজ হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের জন্য ক্যান্সার হাব তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দফতর থেকে টাকা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের জন্য বরাদ্দ বাজেটের এক টাকাও নেওয়া হচ্ছে না। এর আগে বিধানসভায় বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে নানা বিষয়ে রাজ্য সরকারকে বেঁধেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় বেশি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যদি কেন্দ্রের পথে হেঁটে পেট্রল-ডিজেলের উপরে ১০ টাকা করে সেস কমায়, তাহলে তাঁরাও সমর্থন জানাতে প্রস্তুত।
বিরোধী দলনেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের অর্থ সাহায্যের পরিমাণ ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ হাজার টাকা করা,৬ মাসের মধ্যে সরকারি দফতরের সমস্ত শূণ্য পদ পূরণ, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দেওয়ারও দাবি জানান।