ফ্রান্সেও অতি দক্ষিণপন্থার উত্থান, ভোটের আগে প্রবল চাপে মধ্যপন্থী ফরাসি রাষ্ট্রপতি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক: আগামী ২৪ এপ্রিল ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার জন্য ভোটে লড়াই করছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাঁক্রো। এখন পর্যন্ত জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী বাকি প্রার্থীদের থেকে ভোটযুদ্ধে এগিয়ে আছেন ফরাসি রাষ্ট্রপতি।
কিন্তু তাঁর প্রস্তাবিত নতুন পেনশন প্রকল্প ঘিরে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিরোধিতা শুরু হয়েছে দেশের সর্বত্র। ফলে শেষ তিন সপ্তাহে জনপ্রিয়তা কমতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান।
এবারের ফরাসি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মাঁক্রোর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছেন অতি দক্ষিণপন্থী নেত্রী মারিন লা-পেন। শেষ জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বীর থেকে ইমানুয়েল মাক্রোঁ মাত্র ৬ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন ।
ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল মাঁক্রো নতুন পেনশন নীতিতে অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করেছেন। নতুন নীতিতে একজন ৬৫ শক্তি বছর পর্যন্ত চাকরি করে অবসর নিলে তবেই ফুল পেনশন পাবে। প্রধান প্রতিদ্বন্দী মারিন লা-পেন ঘোষণা করেছেন তিনি রাষ্ট্রপতি হতে পারলে নতুন পেনশন নীতি বাতিল করবেন।
এই অতি দক্ষিণপন্থী নেত্রী প্রচার সভায় বলে বেড়াচ্ছেন, পেনশনের বয়স ৬২ থেকে ৬৫ নয়, বরং কমিয়ে ৬০ বছর করা উচিৎ। এই নতুন পেনশন নীতি চালু হলে দেশের যুবসমাজের সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। কারণ অবসরের বয়স বাড়লে তরুণরা কাজ পাবে না।
মাঁক্রোর চাপ আরও বেড়েছে শরিক দলের অবস্থানের কারণে। মধ্যপন্থী ইমানুয়েল মাঁক্রোর অন্যতম সহযোগী দল হল মধ্য-বামপন্থীরা। তারাও এই নতুন পেনশন নীতির ঘোরতর বিরোধী।