একইদিনে দু’বার লোকসভায় স্থগিতাদেশ, দিল্লির ঘটনায় তোলপাড় সংসদ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দিল্লি হিংসা ঘটনার প্রভাব সংসদেও। মঙ্গলবার অধিবেশনের শুরুতেই দিল্লির ঘটনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফার দাবীতে সরব হন বিরোধী সাংসদরা।

বেলা ১২ টা অবধি লোকসভা এবং দুপুর ২ টো অবধি রাজ্যসভা মুলতবী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বেলা ১২ টায় লোকসভা শুরুতেই একই ছবি। দু’পক্ষের বাদানুবাদের জেরে ফের দুপুর ২ টো অবধি লোকসভা স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।

এদিন সকালেই গেরুয়া শিবিরের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে দেশের মধ্যে শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য দলের সমস্ত সাংসদকে আহবান জানিয়েছেন তিনি। শান্তি এবং সম্প্রীতির মাধ্যমেই দেশের বিকাশ বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।

আরও পড়ুনঃ EXCLUSIVE: কানহাইয়ার জনসভা দেখে ভয় পাচ্ছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলঃ বিশ্বজিৎ কুমার

সোমবার থেকে শুরু হয় বাজেট অধিবেশন। দিল্লির ঘটনায় যে ৪২ জন সাধারণ মানুষের প্রাণ হারিয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়ে সংসদে সরব হয় বিরোধী পক্ষ। মঙ্গলবার শুরুতেই সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়।

লোকসভার অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য সমস্ত দলের সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করেন স্পিকার ওম বিড়লা। অধিবেশন চলাকালীন যদিও কোনও সাংসদ নিয়মশৃংখলা লঙ্ঘন করেন তবে তাঁকে চলতি অধিবেশনের বাকি দিনগুলিতে সাসপেন্ড করা হবে। এমনই ফরমান জারি করেন স্পিকার।

সোমবার ১২ টা থেকে ফের শুরু হয় লোকসভার অধিবেশন । স্থগিতাদেশের পর আলোচনা শুরু করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কিন্তু শুরুতেই তাঁর বিরুদ্ধে সংসদে শোর তুলতে শুরু করে বিরোধী পক্ষ। প্রতিরোধ করেও বিরোধীদের সুর দমাতে পারেননি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় ফের লোকসভা স্থগিতাদেশ জারি করা হয়। দুপুর ২ টো অবধি স্থগিতাদেশ জারি রাখা হয়।

এদিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যসভায় ‘সাসপেনসন অব বিজনেস’ নোটিশ জমা দেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবী আজাদ, কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা এবং বিএসপির সাংসদ সতীশ মিশ্র।

রাজ্যসভা স্থগিতাদেশের জন্য নোটিশ জমা দেন সিপি(আই)এম সাংসদ এলামারাম করিম। একইসঙ্গে লোকসভায় মুলতবীর নোটিশ জমা দেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, গৌরব গগৈ এবং মনিকা ঠাকুর।

আরও পড়ুনঃ দিল্লি দাঙ্গা নিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদে উত্তাল সংসদ, অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি কংগ্রেসের

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিজেপি সাংসদ পরবেশ বর্মা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এবং বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন জমা পড়ে। অভিযোগ, দিল্লির সংঘর্ষের কারণ এই তিন নেতার উস্কানিমূলক মন্তব্য। তিন নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিল করা হয়।

পুলিশ এবিষয়ে আদালতে তথ্য জমা দিতে সময় নেওয়ায় তা নিয়ে কটাক্ষ করেন বিচারপতি এস মুরলিধর। ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশের থেকে সমস্ত তথ্য চেয়ে বসেন বিচারপতি এস মুরলীধর। কিন্তু বিচারপতি এস মুরলীধরের বদলি হয়ে যায়।

যা নিয়ে রীতিমতো সরকারকে বিঁধতে শুরু করে বিরোধীরা। পরে সমস্ত তথ্য আদালতে পেশের জন্য পুলিশকে চার সপ্তাহের সময় দেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের ডিভিশন বেঞ্চ।

সম্পর্কিত পোস্ট