শান্তি চাই, কিন্তু এমন হিংসা নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে, বললেন প্রধান বিচারপতি

দ্য কোয়ারি ডেস্ক : ‘ঘৃণ্য বক্তব্য’, ‘উস্কানিমূলক মন্তব্য’-এর কারণে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা শুনতে রাজি হল সুপ্রিম কোর্ট। ঘৃণ্য বক্তব্য রেখে হিংসা ছড়ানোর দায়ে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের  বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন দিল্লি হিংসার ঘটনায় আক্রান্ত কয়েকজন।

জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির জন্য্ আক্রান্তদের আইনজীবী মঙ্গলবার দাবি জানালে প্রধান বিচারপতি এই মামলায় সম্মতি জানান। তিনি বলেন, শান্তি কাম্য, কিন্তু এমন হিংসা নিয়ন্ত্রণে ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

এদিন প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে বলেন, যা ঘটেছে, তা প্রতিরোধ করার মতো ক্ষমতা আমাদের নেই।আমরা কেবল ঘটনার পরের  পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি।এটা আমাদের উপর একধরনের চাপ। আমরা এত চাপ সামলাতে পারি না।

আরও পড়ুনঃদিল্লি হিংসা : মোদি-কেজরি বৈঠকে ত্রাণ নিয়ে কথা, ব্রাত্য ঘৃণ্য বক্তব্য

ঘৃণ্য বক্তব্য রাখার দায়ে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভূক্তি চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্ট চার সপ্তাহ সময় দিয়েছে দিল্লি পুলিশকে।দিল্লি হিংসার ঘটনায় আক্রান্তদের  কয়েকজন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর, প্রবেশ বার্মা, অভয় বার্মা এবং কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভূক্ত করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার আবেদন করেছিলেন।

আক্রান্তদের আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেস এদিন শীর্ষ আদালতে বলেন, ঘৃণ্য বক্তব্যের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর বিচারপতি মুরলিধর বদলি হয়ে যান। পরে একমাসের জন্য ওই মামলা স্থগিত করে হাইকোর্ট।প্রতিদিন ১০ জন করে মানুষ মারা যাচ্ছেন উল্লেখ করে এই মামলা খুব জরুরি বলে এদিন জানান তিনি।

এরপর প্রধান বিচারপতি জানতে চান, হাইকোর্ট চার সপ্তাহের সময়সীমা দেওয়ার পক্ষে কোনও কারণ জানিয়েছিল কিনা। তিনি বলেন, নির্দেশ না পেলে আমরা কি করতে পারি। তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তি চাই। কিন্তু আপনি জানেন যে, আমাদের ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা রয়েছে।অনেক প্রত্যাশা রয়েছে, যা আমরা করতে পারি না।আমরা এই মামলা বুধবার শুনবো। চলুন দেখা যাক আমরা কি করতে পারি।

উল্লেখ্য, দিল্লি হিংসার ঘটনায় এখনও ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন দু’শোরও বেশি মানুষ। 

সম্পর্কিত পোস্ট