মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তন তো হল, নতুন রাজ্য সভাপতি বাছতে ত্রিপুরায় দিশেহারা বিজেপি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া সামলাতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে দিয়েছে বিজেপি। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মানিক সাহা। তিনি দলের রাজ্য সভাপতিও ছিলেন। কিন্তু বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই দলের রাজ্য সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন মানিক।
ফলে এই মুহূর্তে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ খালি। আগামী বছরের শুরুতে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। ফলে রাজ্য সভাপতির পদ বেশিদিন ফাঁকা রাখা সম্ভব নয়। কিন্তু কাকে বসানো হবে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত গেরুয়া শিবির।
বিজেপির একটি অংশের মতে মুখ্যমন্ত্রী পদ যাওয়ার পর বিপ্লব দেবকে ফের রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে। কিন্তু তা নিয়ে বিজেপির ভেতরেই প্রবল আপত্তি আছে। দলের একটি অংশের মতে বিপ্লব দেবের চালচলন, আচার-ব্যবহার ঠিক নয়। তাঁকে রাজ্য সভাপতি করলে ভোটের আগে দলের ফাটল আরও চওড়া হবে। বরং অনেকে মনে করছেন মানিক সাহার ছেড়ে দেওয়া রাজ্যসভা আসনে বিপ্লব দেবকে প্রার্থী করে দিল্লি নিয়ে যেতে পারে বিজেপি।
কেউ কেউ দলের মন্ত্রী রামপ্রসাদ পালের কথা বলছেন। কিন্তু তিনি নতুন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার তীব্র বিরোধী। ফলে দুই বিপপক্ষ শিবিরের দু’জনকে মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্য সভাপতি করার ঝুঁকি বিজেপি নেবে বলে মনে হয় না। এর বাইরে বাকি যে নেতারা পড়ে আছেন তাঁরা কেউই রাজ্য সভাপতি পদের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলানোর যোগ্য কিনা তা নিয়ে বিজেপির মধ্যে সংশয় আছে।
অনুব্রতর লাইনেই চলছে দল, মন্ত্রীর দাবির পরেও বীরভূম নিয়ে তৃণমূলে জল্পনা
এর মাঝে লোকসভার সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকের নাম ভেসে উঠছে। কিন্তু তিনি তীব্র বিপ্লব বিরোধী বলে পরিচিত। তাই প্রতিমাকে রাজ্য সভাপতি করলে বিপ্লব অনুগামীরা ভোটের সময় অন্তর্ঘাত করতে পারে এই আশঙ্কাও আছে।
সব মিলিয়ে নতুন রাজ্য সভাপতি বাছতে গিয়ে কার্যত কালঘাম ছুটে যাচ্ছে দিল্লির বিজেপি নেতাদের। এই পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও ছন্নছাড়া অবস্থা প্রকট হয়ে উঠেছে বিরোধীদের সামনে। সব মিলিয়ে ভোটের আগে বিজেপি নিজেই যেন নিজেকে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিল।