অনুব্রতর দেহরক্ষীকে ঘুঁটি করে মুর্শিদাবাদে নজর সিবিআইয়ের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতারের পর নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে সিবিআই। তিনি রাজ্য পুলিশের কর্মী। এই সায়গলের আসল বাড়ি মুর্শিদাবাদের ডোমকল পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে।
সেই বাড়িতে ইতিমধ্যেই বার চারেক তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর সায়গলকে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। ফলে বীরভূমের পাশাপাশি ফের একবার নবাবের এলাকার নজর পড়েছে সিবিআইয়ের।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে জেেোরা করে বীরভূমের প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের একাধিক তৃণমূল বিধায়ক ও জেলা স্তরের দাপুটে নেতার নাম জানতে পেরেছে সিবিআই। যারা এই গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে সিবিআইয়ের অনুমান।
নবীর অপমান, প্রতিবাদ, বিজেপির অক্সিজেন ও বামেদের অসহায়তা
এদের কেউ হয়ত সরাসরি গরু পাচারের রুট করে দিয়েছিল, আবার কেউ পাচারের সময় স্থানীয় প্রশাসনকে নিষ্ক্রিয় রাখতে সাহায্য করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। বিনিময় প্রত্যেকেই মোটা টাকার ভাগ পেয়েছেন। শাসক দলের এই নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের সেতু হিসেবে সায়গল হোসেন কাজ করতো বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।
মনে করা হচ্ছে সিবিআই চলতি সপ্তাহেই মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন দাপুটে তৃণমূল নেতাকে জেরা করতে পারে। এর আগে গরু পাচার মামলায় ধৃত আরেক ব্যক্তির সঙ্গে এই নেতাদের যোগসাজশ ছিল বলে জানা গিয়েছে। সামশেরগঞ্জ ফারাক্কা লালগোলা জঙ্গিপুর প্রভৃতি এলাকায় পাচারকারীদের সঙ্গে শাসক দলের একাংশ মিলেমিশে এক হয়ে গিয়েছিল বলে সিবিআইয়ের আশঙ্কা।
শেষ পর্যন্ত যদি মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কদের সিবিআই জেরা করার জন্য ডেকে পাঠায় তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তবে সকলের বক্তব্য শুধু জিজ্ঞাসাবাদ নয়, বা সায়গল হোসেনের মতো চুনোপুঁটিদের পর বড় বড় মাথাদেরও ধরুক সিবিআই। এ প্রসঙ্গে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “দেহরক্ষী শুধু নয়, এবার আসল দেহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখতে চাইছে বাংলার মানুষ”!