প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা সামলানো পীযুষ পাণ্ডের কাঁধে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার ভার
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রবিবার সকালে পুলিশ কর্মীদের দায়িত্ব হাত বদলের সময় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের সন্ধান পাওয়া যায়। সে দিব্যি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতর একটি গাড়ির তলায় শুয়েছিল। পরে ধৃত যুবককে জেরা করে জানা যায় শনিবার রাতেই সকলের চোখে ধুলো দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতর ঢুকেছিল সে।
প্রায় ৭-৮ ঘন্টা ওই যুবক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির ভিতর থাকলেও তা পুলিশের নজর এড়িয়ে যায়! এই বিষয়টি যে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গুরুতর গাফিলতি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ঘটনার জেরে পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
ওই ঘটনার তিন দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইপিএস অফিসার বিবেক সহায়কে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার যাবতীয় বিষয় দেখভাল করবেন পীযূষ পাণ্ডে।
ডিজি ব়্যাঙ্কের অফিসার বিবেক সহায় এতদিন ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্ব দেখভাল করতেন। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যেয় স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে তাঁকে ডিজিপি (প্রভিশনাল) পদে বদলি করা হয়েছে।
পরিবর্তে পুলিশের কারেকশনাল সার্ভিসের এডিজি পীযূষ পাণ্ডেকে ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি নিযুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য বিবেক সহায় ডিজি ব়্যাঙ্কের অফিসার হলেও তাঁর পদে সদ্যনিযুক্ত পীযূষ পাণ্ডে এডিজি ব়্যাঙ্কের পুলিশ কর্তা, যা তুলনায় এক ধাপ নিচু।
নরেন্দ্র মোদির ভক্ত বলে জাহির করলেও অতীত উদাহরণ রূপাকে নিয়ে সংশয় জিয়েই রাখল
তবে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে পীযূষ পাণ্ডের অভিজ্ঞতা যথেষ্ট। মনমোহন সিং প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি ডেপুটেশনে এসপিজি-তে ছিলেন। সেই সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিক বিদেশ সফর করেছেন।
ইউরোপ, আমেরিকার মাটিতে সেই সময় মনমোহন সিংয়ের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার গুরু দায়িত্ব সামলেছেন পীযুষ পাণ্ডে। সম্ভবত তাঁর সেই পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার মতো স্পর্শকাতর বিষয়ের দায়িত্ব তার কাঁধে তুলে দিল প্রশাসন।
এদিকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের সিপি মনোজ ভার্মাকে ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটির উপ-প্রধান করা হয়েছে। আইজি ব়্যাঙ্কের এই অফিসারের কাঁধে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে আইজি আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। মনোজ ভার্মা অশান্ত ব্যারাকপুরকে শান্ত করার পুরস্কার পেলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর এর আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার ফাঁক নিয়ে রীতিমতো সরব হয়ে ওঠেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাণহানির আশঙ্কা নিয়ে তৃণমূলের নেতৃত্ব রীতিমতো চিন্তিত বলে জানা গিয়েছে।