শহর ও শহরতলীতে একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা , কড়া নজরদারির সিদ্ধান্ত বিদ্যুৎ দপ্তরের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সাম্প্রতিক কালে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিকাঠামোর সামগ্রিক পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বিদ্যুৎ দফতর,কলকাতা পুরসভা ও সি ই এস সি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠক করেন।
সেখানে বিপজ্জনক বিদ্যুতের খুঁটি, খোলা তার ইত্যাদি চিহ্নিত করতে পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতরকে নিয়মিত যৌথ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে। নজরদারিতে কোনওরকম গাফিলতি থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।এলাকায় এলাকায় হুকিং আটকাতেও বিদ্যুৎ দফতর ও পুলিশকে অতর্কিতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা যথাযথ আছে কিনা কলকাতা পুরসভাকেও তা দ্বায়িত্ব নিয়ে দেখতে হবে বলে মুখ্যসচিব স্পষ্ট নির্দেশ দেন।
ল্যাম্পপোস্ট থেকেই মূলত একাধিক জায়গায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তাই পুরনো আলোগুলো ঠিকমতো রয়েছে কিনা, তারও নজরদারি চালানো প্রয়োজন বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মিটার বক্স একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় লাগানোর জন্য দমকল ও বিদ্যুৎ দফতর একটি গাইডলাইন দেবে বলে নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।
এবার অমরনাথ, একের পর এক বিপর্যয়েও শিক্ষা হয়নি! প্রকৃতির উপর আধিপত্য বিস্তার চলছেই
শহর ও শহরতলিতে একের পর এক বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্য সরকার নজরদারির পাশাপাশি দপ্তর এবং বিদ্যুত সংস্থার আধিকারিকদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির উপরে জোর দিয়েছে। বিদ্যুত মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস নবান্নে সাংবাদিকদের বলেন, শহর ও শহরতলিতে যে সব জায়গায় সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুত পরিবহন নিগমের বিদ্যুত সংযোগ রয়েছে সব জায়গাতেই নজরদারি বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যে সব আধিকারিক ও কর্মীর গাফিলতিতে এই ধরনের দূর্ঘটনা ঘটছে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমন্বয় বৃদ্ধির জন্য ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী দুই বিদ্যুত সংস্থার আধিকারিক, ইঞ্জিনিয়ার, সচিব সহ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য গত দশ দিনে কলকাতা ও শহরতলিতে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত চারজন মারা গিয়েছেন।