ক্যানিংয়ের ভয়াবহ খুন কী তৃণমূলকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা?
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূলে এখন জোর কদমে ২১ শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়িতে প্রস্তুতি সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা কার্যত জনসভার চেহারা নেবে বলেই সে জেলার তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। তাছাড়া উত্তরবঙ্গ সহ দূরের জেলাগুলি থেকে ২১ শে জুলাই উপলক্ষে মানুষজন আগেভাগেই কলকাতায় চলে আসতে শুরু করবে।
তাদের থাকতে দেওয়া, সঠিকভাবে খাবার-দাবারে বন্দোবস্ত করা, কর্মী সমর্থকদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা সব নিয়ে ব্যস্ততা চরমে। কিন্তু এরই মাঝে ক্যানিংয়ের তিন তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে।
প্রথমে পরেশরাম দাস ও পরে সওকত মোল্লা, দুই তৃণমূল বিধায়ক যেভাবে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে ব্যাপারটা বেশ গুরুতর হয়ে উঠেছে।
তিন তৃণমূল কর্মীকে এই নৃশংস খুনের ঘটনায় শাসক দল বিরোধী বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। যদিও বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি তাঁরা ওই এলাকায় অত্যন্ত দুর্বল, তাই বিজেপির পক্ষে এমন কাজকর্ম করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
মানুষ কী সচেতন হবে না? ফের বেলাগাম করোনায় উঠছে প্রশ্ন
ঘটনা হল দক্ষিণ ২৪ পরগণাকে তৃণমূলের সবচেয়ে শক্ত ঘাঁটি বলে মনে করা হয়। বাম আমলেও এই জেলায় নিজস্ব একটা জায়গা তৈরি করে নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আর গত ১১ বছরে এই জেলা থেকে রাজনৈতিকভাবে বিরোধীরা প্রায় মুছেই গিয়েছে।
২১ শে জুলাইয়ের সমাবেশে সবচেয়ে বেশি কর্মী সমর্থকের আসার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেই। তাই সেই বিষয়টি ভণ্ডুল করতেই দুষ্কৃতীরা কোনও চক্রান্ত শুরু করেছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তবে এতে একটা বিষয় পরিষ্কার বিরোধী দলের হাত থাকুক বা না থাকুক, দুষ্কৃতীরা খুব ভাবনা চিন্তা করেই এ কাজ করেছে।
তবে স্থানীয় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তৃণমূলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি ইতিমধ্যেই রাজ্য প্রশাসন ও দলের শীর্ষস্তরেও পৌঁছেছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতীরা একের পর এক ধরা পড়তে শুরু করায় এই খুনের ঘটনার একেবারে গোড়ায় পৌঁছনো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।