এজেন্সির স্ট্র্যাটেজি বদল, পার্থর পর কে? সংশয় বাড়ছে তৃণমূলের সিন্ডিকেটে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ তৃণমূল সিন্ডিকেট এই কথাটা দেখলেই বিতর্ক তৈরি হতে পারে। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর বিষয়টি স্পষ্ট। যারা দিনের পর দিন রাজনীতির নামে তৃণমূল কংগ্রেসের নাম ভাঙিয়ে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন, অথচ ব্যক্তিগত জনভিত্তি বলে কিছু নেই তারা তৃণমূল কংগ্রেসের সিন্ডিকেটের অংশ।
অভিজ্ঞতার নামে এরা কার্যত দখলদারি চালায় দলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্নেহময় মনোভাবের সুযোগ নিয়ে এরা সাধারণ মানুষকে বারবার বঞ্চিত করে চলেছে।এই অংশের বিরুদ্ধেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের যাবতীয় ক্ষোভ।
ভারতীয় রাজনীতিতে এর আগে কংগ্রেসের সিন্ডিকেটের সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল দেশবাসীর। নিজলিঙ্গাপ্পাদের মতো জনবিচ্ছিন্ন প্রবীণ নেতাদের পদে পদে বিরোধীতায় অতিষ্ঠ হয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে নিজের দল গঠন করেন ইন্দিরা। সাধারণ মানুষ কিন্তু তাঁরই পাশে দাঁড়িয়েছিল। এর থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, মানুষ গা জোয়ারি নয়, যে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল তার পাশেই থাকে।
৩ আগস্টের আগে ছাড়া পাচ্ছেন না পার্থ-অর্পিতা
পার্থ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে যে তেমনই ক্ষতিকারক সিন্ডিকেটের অংশ তা এতদিনে স্পষ্ট। তাঁর গ্রেফতারির পর জল্পনা শুরু হয়েছে এরপর কে?
খেয়াল করে দেখার বিষয় ইডি- সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলো নিজেদের স্ট্রাটেজি বদলেছে। সারদা-নারদ কাণ্ডের মতো বিষয়, যাতে বর্তমান বিজেপিরও কেউ কেউ জড়িত তারা সেগুলো নিয়ে উচ্চবাচ্য করছে না। বরং বিজেপির লোক জড়িয়ে নেই এমন ক্ষেত্রই এখন পাখির চোখ তাদের। ঘটনা হল এমন বিষয়গুলিতে তৃণমূলের সিন্ডিকেটের অন্তর্গত নেতাদের নাম বারবার উঠে আসছে। যারা বয়সে নবীন, একেবারে নিচুতলায় কাজ করে এইসব বিতর্কে জড়িয়ে নেই।
ফলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি আরও সক্রিয় হলে এই সিন্ডিকেটের অংশ দু-চারগাছা নেতার যে কপাল পুড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এতে তৃণমূলেরই ভালো হবে বলে নিচুতলার কর্মীদের ধারণা।