দল থেকে সাসপেন্ড হতেই বিস্ফোরক পার্থ
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে তাঁকে মন্ত্রিসভা থেকেও সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর শুধু রাতটা কেটেছে, তারপরই কার্যত বিস্ফোরণ ঘটালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শুক্রবার সকালে তাঁকে ও অর্পিতা মুখার্জিকে নিয়মমাফিক জোকার ইএসআই হাসপাতালে চেকাপ করাতে নিয়ে যায় ইডি। সেখানেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পার্থ দাবি করেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার!
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সাংবাদিকরা মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ ও দল থেকে সাসপেন্ড করা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তার উত্তরেই এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ বলেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি”। কিন্তু কী ষড়যন্ত্র, কারা তাঁর বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত করেছে সেই নিয়ে আর কোনও মন্তব্য করেননি।
১ লক্ষ বা তার বেশি টাকার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক ই-টেন্ডার
ফলে জল্পনা শুরু হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। প্রশ্ন উঠছে এই কথা বলে তিনি নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেস নাকি প্রধান বিরোধী বিজেপিকে নিশানা করতে চাইলেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারকে বিজেপির বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ হিসেবে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল।
কিন্তু বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কেন্দ্র করে রাজ্যবাসীর মনে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দল সেটাকে মর্যাদা দিচ্ছে। পাশাপাশি তিনি যে নির্দোষ সেটা আইনের সাহায্য নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেই প্রমাণ করতে হবে বলে জানিয়ে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপরই রাজ্যের সদ্য প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীর এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা উস্কে দিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।