শুধু পার্থ নয়, দুর্নীতির অভিযোগে এর আগেও পদচ্যুত হয়েছে বাংলার মন্ত্রীরা
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ ৩৪ বছর বাংলা শাসন করেছিল বামফ্রন্ট। তাদের বিরুদ্ধে বিরোধীরা নানান বেনিয়ম ও অনৈতিক কাজের অভিযোগ তুললেও কোনটাই আদালতে প্রমাণ করতে পারেনি। এমনকি মানুষ বিশ্বাস করবে সেইরকম সামগ্রিক অভিযোগও খুব একটা উঠতে দেখা যায়নি।
বিশেষ করে সিপিএমের লক্ষণ শেঠ সহ যে নেতাদের বিরুদ্ধে অর্থ নয়ছয় ও বেআইনি সম্পত্তি করার অভিযোগ ছিল তাঁরা কেউই রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর ছেলে চন্দন বসুর বিরুদ্ধে ‘বেঙ্গল গ্লাস’ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তিনি সরাসরি লাল পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। পরবর্তীকালে তাঁকে বিশেষ পাত্তাও দেননি সিপিএম নেতারা।
ফলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা এর আগে বাংলার রাজনীতিতে খুব একটা দেখা যায়নি। ঘটনাচক্রে তৃণমূল আমলে মন্ত্রিসভার বেশ কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে আগেও চাঞ্চল্যকর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
মমতার ঘোষণায় নতুন ৭ জেলা, মন্ত্রিসভা নিয়ে বড় ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর
তাদের মধ্যে কয়েকজনের টাকা নেওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে প্রকাশ্যে। কিন্তু বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা ও মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর অনেকেই ভাবছেন এ ঘটনা বাংলায় প্রথম, কিন্তু তা নয়।
এর আগেও দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তিনজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার নজির আছে। তবে তাঁরা কেউই বামপন্থী নয়। সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের জামানায় রাজ্যের তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তাঁদের মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী কাশীকান্ত মৈত্র, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সুনীতি চট্টরাজ ও ত্রাণমন্ত্রী সন্তোষ রায়ের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে। তবে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় দেরি না করেই তাঁদের তিনজনকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন।
তবে এঁদের কারোর বিরুদ্ধেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো দুর্নীতির অভিযোগের এই ব্যাপকতা ছিল না। ফলে তাঁরা তিনজনেই সসম্মানে রাজনীতির ময়দানে ফিরতে পেরেছিলেন। বাম জামানায় পাঁচ বছর রাজ্যের বিরোধী দলনেতাও ছিলেন কাশীকান্ত মৈত্র।