পার্থর পর অনুব্রত? সিবিআইয়ের পদক্ষেপে জল্পনা বাড়ছে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার কি অনুব্রত মণ্ডল? কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির পদক্ষেপে সেই জল্পনাই তীব্র হচ্ছে। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগ কম নয়।
গরু পাচার, কয়লা পাচারের পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতেও তাঁর নাম জড়ানো হয়েছে। জড়ানো হয়েছে না জড়িয়েছে, এই নিয়ে বিতর্ক থাকবে। তবে ক্রমশ যে তাঁকে ঘিরে ফেলা হচ্ছে তা ইডি-সিবিআইয়ের পদক্ষেপ থেকে পরিষ্কার।
গরু পাচার মামলায় সোমবার অনুব্রত মণ্ডলকে নিজাম প্যালেসে ডেকেছিল সিবিআই। যদিও রবিবারই অনুব্রতর আইনজীবী ই-মেল করে জানিয়ে দেন তিনি হাজিরা দিতে পারবেন না। কারণ হিসেবে মেডিকেল চেকাপের কথা বলা হয়।
সেই মতো সোমবার এসএসকেএম হাসপালে ও আসেন অনুব্রত। দীর্ঘক্ষণ তাঁর শারীরিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান ভর্তি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এরপরই অনুব্রত এসএসকেএম থেকে বেরিয়ে বোলপুরের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। এখানেই গোল বাঁধে।
শিণ্ডে হতে পারলেন না আরসিপি, বিহারে ক্ষমতা হারাচ্ছে বিজেপি?
চিকিৎসকরা ছেড়ে দেওয়ার পরও তিনি কেন সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দিলেন না সেই প্রশ্ন উঠছে। সূত্রের খবর, বিষয়টিকে যথেষ্ঠ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে সিবিআই। তারা যথেষ্ঠ বিরক্ত বলে একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে। এরপরই পাল্টা চাপ দেয় সিবিআই।
চিনারপার্কে অনুব্রত মণ্ডলের ফ্ল্যাটে গিয়ে সোমবার সন্ধেতেই নোটিশ আটকে দেন সিবিআই কর্তারা। সূত্রের খবর, সোমবার রাত বা রবিবার সকালে বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতেও হানা দিতে পারেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। তেমন হলে গ্রেফতার করাও হতে পারে অনুব্রত মণ্ডলকে, এমনটাই দাবি বিজেপির একাংশের। সবমিলিয়ে অনুব্রতকে বাগে আনার জন্য সিবিআইয়ের গেমপ্ল্যান অনেকটাই সাজানো গোছানো বলে মনে হচ্ছে।