নিম্নচাপের জেরে কিছুটা মিটেছে জলের ঘাটতি, কৃষিকাজে বিপুল উন্নতির সম্ভাবনা

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে সম্প্রতি কয়েকটি ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্ন চাপের জেরে বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে জলের ঘাটতি অনেকটাই মিটেছে। এর ফলে লক্ষ্যমাত্রার ৮৭% কৃষি জমিতে ধান রোপন করা সম্ভব হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন বৃষ্টি হওয়ায় চলতি খরিফ মরশুমে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৪১ লক্ষ ৪২ হাজার হেক্টর কৃষি জমির মধ্যে ৩৭ লক্ষ ১৫ হাজার ৩১৭ হেক্টর জমিতেই ধানের চারা রোপন করা গিয়েছে। জলের অভাবে যে চার লাখ হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা যায়নি সেখানে বিকল্প চাষ হিসাবে কৃষকদের হাতে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ডাল এবং তৈলবীজ তুলে দেওয়া হয়েছে।

বিভিন্ন জেলার কৃষি পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী ইতিমধ্যেই দপ্তরের আধিকারিক সহ ২১৪ টি কৃষি খামারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি উন্নয়ন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জেলার পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে তিনি আগামী তিন তারিখে পূর্ব বর্ধমান জেলা সফরে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দু’সেট করে পোশাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্যের

গত খরিফ মরসুমে রাজ্যে আউশ ও আমন চাষ হয়েছিল প্রায় ৪১ লক্ষ হেক্টর জমিতে। এ বার লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৪৩ লক্ষ হেক্টর করেছে কৃষি দফতর। গত বছর যেখানে অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রায় ৩৭ লক্ষ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ হয়ে গিয়েছিল, সেখানে এ বছর হয়েছে ২৬ লক্ষ হেক্টরে।

খরিফ মরসুমে গত বছর এক কোটি ৭০ লক্ষ টন ধান উৎপাদন হয়েছিল।কৃষিমন্ত্রী বলেন, “শুরুতে যে পরিস্থিতি হয়েছিল, তার চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কয়েকটি জেলায় ধান রোপণের সমস্যা রয়েছে। নিম্নচাপের সাহায্যে বাকি জমিতে চাষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। তা না হলে বিকল্প চাষের পথ খোলা রয়েছে।’’

সম্পর্কিত পোস্ট