তোলপাড় ফেলে কেন্দ্রীয় কমিটির আভাস জেলে, এবার বাকি নেতারাও কী একই পথে হাঁটবেন
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সিপিএমের অন্দরে পার্টি কাঠামো খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করা হয়। অবশ্য কমিউনিস্ট পার্টি মাত্রেই এটা স্বাভাবিক বিষয়। সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মানে তাঁর মর্যাদা যেমন বেশি, তেমনই ওজন প্রতিপত্তিও অনেক। আর আভাস রায়চৌধুরী শুধু কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তাই নন, বাংলার পরের প্রজন্মের যে নেতাদের সামনে রেখে সিপিএম চলছে তিনি তাদের প্রধান বলে মনে করেন অনেকে।
সেই আভাস এখন ১০ দিনের জেল হেফাজতে। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে জেলে যেতে হয়েছে। এ যেমন বিরল ঘটনা তেমনই সারা জাগানো বিষয়ক বটে। ১৯৭৭ সালে বাংলায় ক্ষমতা আসার পর থেকে এযাবৎকালে সিপিএমের কোনও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যকে আন্দোলন করতে গিয়ে জেল হেফাজতে যেতে হয়েছে, এমনটা কেউ মনে করতে পারছেন না।
সেলিমই কী অনুঘটক? পালাবদলের পরই যেন বদলে গেছে সিপিএম
বরং দলীয় নেতৃত্বের সরাসরি সংঘর্ষের রাস্তায় হাঁটতে না চাওয়া ঘিরে প্রবল অসন্তোষ ছিল কর্মী সমর্থকদের মনে। কিন্তু আভাস রায় চৌধুরী সেই ধারা ভেঙে দেওয়ার পর বাকি নেতাদের উপরেও এই নিয়ে একপ্রকার চাপ তৈরি হয়েছে। কর্মী সমর্থকরা চাইছেন আর আন্দোলনের নামে কর্মসূচি পালন নয়, এবার সরাসরি সংঘাতের রাস্তায় হাঁটুক দল। অন্তত এই মুহূর্তে আবেগ ও দাবি তাই।
তবে সিপিএমের বড় নেতাদের মধ্যে আন্দোলন করতে গিয়ে শুধু যে আভাস রায়চৌধুরী জেলে গেলেন তাই নয়। বরং এর সূত্রপাত হয়েছিল মীনাক্ষী মুখার্জির হাত ধরে। মাসখানেক আগে হাওড়ার পাঁচলায় আনিস খানের খুনিদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় অভিযানের ডাক দিয়েছিল বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনগুলি। সেখানেই গ্রেফতার করা হয়েছিল মীনাক্ষীকে। এবার আভাস জেলে গেলেন। অতি উৎসাহী সিপিএম কর্মীরা বলছেন, এ ভালো সময়ের ‘আভাস’!