কদর্যতার চূড়ায় বাংলার রাজনীতি
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, চিত্তরঞ্জন দাশ, বিধানচন্দ্র রায়, জ্যোতি বসু, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের রাজনীতি আগেই বিদায় নিয়েছে। এই দিকপাল রাজনীতিবিদদের উত্তরসূরিরা দলমত নির্বিশেষে অনেকদিনই সঙ্কীর্ণতার পরিচয় দিলেন।
তবে বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন থেকে যা শুরু হল তা কদর্য বললেও কম বলা হবে। কুণাল ঘোষদের কথা শুনলে এ রাজনীতি না ছেলেখেলা গুলিয়ে যেতে পারে। ১৩ সেপ্টেম্বর নবান্ন অভিযানে কলকাতার পিটিএসের কাছে শুভেন্দু অধিকারী এই মহিলা পুলিশ কর্মীকে বলেছিলেন, “ডোন্ট টাচ মাই বডি। আই অ্যাম মেল।”
তাঁর এই মন্তব্যের পর শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ সর্বত্র থেকে শুভেন্দুর লিঙ্গ পরিচয়, যৌন রুচি, মৌন চাহিদা নিয়ে যে সব মন্তব্য ভেসে এসেছে তা অনভিপ্রেত তো বটেই, একইসঙ্গে কুরুচিকর। শাসকদলের শীর্ষ নেতা বলছেন, “ও পুরুষ পছন্দ করে!”
চাকরির নামে ‘ভুয়ো’ অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দিয়েছে সরকার? সবেতেই ক্রেডিট নেওয়ার প্রবণতাতেই বিপত্তি
এমন মন্তব্য আজকের দিনে ভাবা যায়! কেন, ওই নেতা কী হোমোসেক্সুয়ালিটি সম্বন্ধে জানেন না? কেউ সম লিঙ্গ পছন্দ করলে দোষ কোথায়! তাছাড়া কারোর যৌনতা নিয়ে প্রকাশ্যে এমন মন্তব্য করার অধিকার কেউ কাউকে দেয় না।
পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিতৃ পরিচয় নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা সমানভাবে কদর্য। এ কোন বাংলা? প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই যেন কদর্যতার প্রতিযোগিতায় নেমেছে!
রাজনীতিতে রাজনীতি থাকছে না। তার বদলে কুৎসিৎ ব্যক্তি আক্রমণ দিয়ে বাজার মাত করতে চাইছেন নেতারা। আমজনতার নজর কিন্তু থাকছে।