‘বেতো ঘোড়া’ কংগ্রেসের কোন কাজে লাগবে!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আগামী ১৯ অক্টোবর চূড়ান্ত হয়ে যাবে কে কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন। এবং ওইদিনই ২৪ বছর পর দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলের সভাপতি পদে গান্ধি পরিবারের বাইরে কেউ দায়িত্ব নেবেন। কিন্তু তাতে লাভ কতটা হবে?
ভোট শতাংশে ধারাবাহিক ক্ষয়, গত পাঁচ বছরে প্রায় দু’শো নামী নেতার দল ছেড়ে যাওয়া, একের পর এক আঞ্চলিক দলের চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় ব্যর্থ কংগ্রেস। সেই সঙ্গে বিজেপির দাপট তো আছেই। এই পরিস্থিতি থেকে গান্ধিরা দলকে ঘুরে দাঁড় করাতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন বলেই হালকা করে হলেও কংগ্রেসের ব্যাটন অন্যদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি উঠেছে দলে। কিন্তু শশী থারুর বা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, যিনিই সভাপতি হন, আদৌ পারবেন তো কংগ্রেসকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে?
শশী থারুরের থেকে রাজনীতিতে অনেক বেশি অভিজ্ঞ মল্লিকার্জুন খাড়্গে। যদিও জননেতা হয়ে উঠতে পারেননি। এমনকি নিজের রাজ্য কর্নাটকেও তাঁর থেকে বেশি জনপ্রিয় অনেক নেতা আছেন। সভাপতি ভোটে দাঁড়ানোর আগে তিনি সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসের মাঝারি স্তরের নেতা ছিলেন বলা চলে।
মালবাজারের বিষাদের মধ্যেই রঙিন হবে কলকাতা, যদিও কার্নিভাল মানতে পারছেন না বহু
সে যতই রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা থাকুন না কেন। তার উপর খাড়্গে কোনওদিনও সংগঠন করা লোক নন। প্রণব মুখার্জি, কমল নাথ, ডি কে শিবকুমাররা যেমন কংগ্রেসের ক্রাইসিস ম্যানেজার হিসেবে সফল, তেমন নজিরও নেই তাঁর। এই অবস্থায় ৮০ বছরের মল্লিকার্জুন খাড়্গে সভাপতি হলে কোনদিক থেকে কংগ্রেসের লাভ হবে তা বোঝা বেশ জটিল।
শশী থারুরের সঙ্গে যে সংগঠনের বিন্দুমাত্র যোগাযোগ নেই তা একজন শিশুও বলে দিতে পারবে। বছর ৬৬ এর শশীকে দেখে বয়স পঞ্চাশের কোঠায় মনে হয়, তাঁর ক্যারিশমাও যথেষ্ঠ। সেইসঙ্গে তাত্ত্বিক বিষয়ে তিনি অত্যন্ত পরিষ্কার, শিক্ষিত সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য মুখ। ভালো কথা বলেন। কিন্তু তিরবন্তপুরমের এই সাংসদের সঙ্গে আমজনতার যোগ কোথায়!
এই অবস্থায় থারুরের থেকে খাড়্গের পাল্লা ভারি। তিনিই সভাপতি হয়ে যেতে পারেন। কংগ্রেসের অভ্যন্তরীন ভোটের ফল যাই হোক, নিট ফল সেই অশ্বডিম্ব!