বরাবরের ‘পিচ্ছিল’ মুলায়ম ভুগিয়েছিলেন মমতাকেও

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ স্কেটারের বদলে সাইকেল কী করে মুলায়ম সিং যাদবের প্রিয় বাহন হল কে জানে! সোমবার সকালে নয়ডার মেদান্তা হাসপালে ৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হন ‘নেতাজী’ মুলায়ম সিং যাদব। এই খবর সকলের‌ই জানা। নিজের হাতে গড়ে তুলেছিলেন সমাজবাদী পার্টি।

মাত্র এক বছরের মধ্যে নতুন তৈরি দলকে উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে ক্ষমতায় নিয়ে এসেছিলেন। তবে মুলায়মের রাজনৈতিক চালের গতিবিধি আগাম অনুমান করা ‘মুশকিল নেহি, না মুমকিন’ ছিল। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একবার ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিলেন।

রামমনোহর লোহিয়ার এই অনুগামী যাদব ও মুসলিম ভোট একত্রিত করে উত্তরপ্রদেশে এক নতুন সমীকরণের জন্ম দিয়েছিলেন। তবে আমৃত্যু সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরোধী ছিলেন। যদিও মুলায়মকে বাগে আনা বোধয় দুটো মানুষ ছাড়া আর কেউ পারেননি। জ্যোতি বসুকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন।

মমতা-মুকুল বৈঠক! আবার মূল স্রোতে ফিরছেন রায়সাহেব?

১৯৯৬ সালে খুব করে চেয়েছিলেন তাঁর ‘নেতা’ বসু প্রধানমন্ত্রী হন। এই প্রবাদপ্রতিম কমিউনিস্ট নেতাকে নিজের নেতা মানতেন কুস্তিগীর থেকে রাজনীতিবিদ হ‌ওয়া মুলায়ম। আর সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক হরকিষেন সিং সুরজিৎকে খুব মানতেন।

তবে ২০১২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় মুলায়মের ভূমিকা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোধহয় কিছুতেই ভুলবেন না। তখন ইউপিএ-২ সরকার ক্ষমতায়। তারা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করল বঙ্গ সন্তান প্রণব মুখার্জিকে। সিপিএম, সিপিআই সহ বামপন্থী দলগুলোও প্রণবকে সমর্থন করল।

হঠাৎ মমতা বেঁকে বসলেন। মুলায়মের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প প্রার্থী দেবেন ঠিক করলেন। শোনা যায় এই বিষয়ে সদ্য প্রয়াত যাদব নেতাই মমতাকে উস্কে ছিলেন। যদিও একেবারে শেষ মুহূর্তে তিনি ভোর বদলে প্রণবকেই সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন।

বাধ্য হয়ে মমতাকেও ঢোক গিলতে হয়। যাবতীয় বিদ্রোহে ইতি টেনে একরাশ অস্বস্তি নিয়ে প্রণব মুখার্জিকেই সমর্থনের কথা ঘোষণা করেন। তবে প্রথম বাঙালি রাষ্ট্রপতি অবশ্য সস্নেহেই মমতাকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন।

সম্পর্কিত পোস্ট