বছর ঘোরার আগেই এই পুরসভা তৃণমূলের হাতছাড়া হওয়ার মুখে
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যের শতাধিক পুরসভায় ভোট হয়। তারমধ্যে অনেকগুলোই বিনা নির্বাচনে জিতে যায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা।
এরইমধ্যে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়েছিল। কিন্তু পুরভোটের ফল প্রকাশের দু’দিনের মাথায় খুন হয়ে যান এখানকার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। তিনি আবার এই পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান ছিলেন। সেই ঝালদাই এবার তৃণমূলের হাতছাড়া হলো বলে।
১২ ওয়ার্ডের জাদ্দা পুরসভায় কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয়ে ৫ টি করে ওয়ার্ডে জয়ী হয়। বাকি দুটি ওয়ার্ডে জেতে নির্দল প্রার্থী। কিন্তু তপন কান্দু খুন হওয়ায় কংগ্রেসের কাউন্সিলর সংখ্যা ৪ এ নেমে আসে। এই অবস্থায় নির্দলের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। পুরপ্রধান হন সুরেশ আগরওয়াল। এদিকে উপনির্বাচনে তপন কান্দুর ওয়ার্ডে তাঁর দল কংগ্রেসই জয়ী হয়। ফলে তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা আবার বেড়ে ৫ হয়ে যায়।
এই অবস্থায় পুর বোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সম্প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনতে কংগ্রেস। তাতে এক নির্দল কাউন্সিলর সমর্থন জানান। সেই হিসেবে জাদ্দা পুরবোর্ডের ফল দাঁড়ায় ৬-৬। কিন্তু বৃহস্পতিবার হঠাৎই তৃণমূল ছেড়ে দেন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়।
রাজনৈতিক বৈরীতা বিবেক নাশ করে! অভিষেকের চিকিৎসা নিয়ে প্রশ্ন তারই উদাহরণ
পুর নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। পরে তিনি তৃণমূলকে সমর্থন করলে তারা বোর্ড গঠন করে। তাঁকে দলীয় পদও দেয় তৃণমূল। কিন্তু বৃহস্পতিবার শীলা চট্টোপাধ্যায় জানান তিনি ব্যক্তিগত কারণে তৃণমূল দল ছেড়ে দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে দলের সমস্ত পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন।
এই অবস্থায় ঝালদা পুরসভায় ক্ষমতাসীন তৃণমূলের পক্ষে এইমুহুর্তে ৫ জন কাউন্সিলর আছেন। ফলে খুব বড় কিছু না ঘটলে অনাস্থা ভোটে তাদের পরাজয় একরকম নিশ্চিত। আর এই ‘মাস্টারস্ট্রোকের’ নেপথ্য কারবারি হিসেবে প্রাক্তন বিধায়ক তথা পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহাত’র নাম উঠে আসছে। এই প্রবীণ নেতাই তৃণমূল বোর্ডকে কাদের কিনারায় ঠেলে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।