ইস্যুহীন বিজেপিকে চাঙ্গা করলেন অখিল, আদিবাসী ভোট টার্গেট গেরুয়া শিবিরের
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ রাজ্যে শিক্ষা দুর্নীতির মতো বড় ইস্যুতে বিশেষ দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। প্রতিবাদ-আন্দোলনের রাজনৈতিক মাইলেজ মূলত সিপিএম নিয়ে চলে গিয়েছে। ফলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রধান বিরোধী হয়েও চিন্তায় ছিল গেরুয়া শিবির। কিন্তু অখিল গিরির এক মন্তব্যেই হাতে গরম ইস্যু পেয়ে গিয়েছে তারা। সেই ইস্যু এখন আর কোনমতেই হাতছাড়া করতে রাজি নন শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদাররা।
রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরির মন্তব্যকে দু’ভাগে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। প্রথমত, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর অবমাননার অভিযোগ তুলে মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে বহিস্কারের দাবি তুলেছে। এই দাবিতে তৃণমূল সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
আর দ্বিতীয়ত, দ্রৌপদী মুর্মু যেহেতু আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ, তাই সেই বিষয়টি তুলে ধরে আদিবাসীদের অবমাননার অভিযোগ এনেছে। এই বিষয়টির মাধ্যমে রাজ্যের সমগ্র আদিবাসী ভোটকে নিজেদের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে।
অখিলের মন্তব্য ন্যাক্কারজনক, কিন্তু শুভেন্দুও কম যান না
এমনিতেই ২০১৮ এর পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে আদিবাসী ভোট বাংলায় ক্রমশ বিজেপির দিকে ঝুঁকির। ২০১৯ এর লোকসভায় তা স্পষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ২১ এর বিধানসভায় রাজ্যে মুখ ঠুকে পড়লেও জঙ্গলমহল ও উত্তরবঙ্গের আদিবাসী প্রধান এলাকাগুলোয় মূলত বিজেপিরই দাপট দেখা গিয়েছে। যদিও ঝাড়গ্রাম সহ বেশ কিছু জায়গায় কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ায় তৃণমূল।
কিন্তু অখিল গিরির মন্তব্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপিকে ঘুরে দাঁড়ানোর রসদ দিয়ে দিল। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বিরোধীতা করে পথে নেমেছে আদিবাসীরা। রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডির গাড়ির পথ আটকে দেওয়া হয়। অখিল গিরির মন্তব্যের দায় গোটা তৃণমূল দলের উপরেই এখন এসে চাপছে। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা ব্যথ্যা বাড়াবে।