হিমাচলের ভাগ্যে মধ্যপ্রদেশের পরিণতিই নাচছে!
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ৬৮ আসনের হিমাচলে ৪০ টি দিতে নিরঙ্কুশভাবে ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। মানে প্রায় ৬০ শতাংশ আসন জিতেছে তারা। যদিও ভোট শতাংশে বিজেপির সঙ্গে তাদের পার্থক্য খুবই সামান্য। ০.৯ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে রাহুল গান্ধির দল। কিন্তু জিতেও নিশ্চিন্তে নেই কংগ্রেস হাইকমান্ড। গেরুয়া শিবির থেকে ইতিমধ্যেই হুমকি আস্তে শুরু করেছে, মধ্যপ্রদেশের মতোই পরিণতি হবে হিমাচলের!
বিজেপি যাতে বিধায়ক ভাঙিয়ে নিতে না পারে তাই পাঞ্জাবের মোহালির এক হোটেলে হিমাচলের সদ্য নির্বাচিত দলীয় বিধায়কদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। তাদের আশঙ্কা, তিন নির্দল বিধায়ককে কাছে টানার পাশাপাশি তাদের ৮-১০ জন বিধায়ককে টার্গেট করেছে গেরুয়া শিবির। অমিত শাহ’র নেতৃত্বে ‘অপারেশন লোটাস’ শুরুর আশঙ্কায় ভুগছে তারা। এক্ষেত্রে মধ্যপ্রদেশের ক্ষত দগদগে হয়ে আছে তাদের মনে।
অভিষেক-শুভেন্দু রাজনীতির বদলে ব্যক্তি আক্রমণেই যেন মত্ত!
২০১৮ এর বিধানসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে জিতেছিল কংগ্রেস। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দই তাদের কাল হয়। বর্ষিয়ান কমলনাথ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় সরকারের দেড় বছরের মাথায় তরুণ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া অনুগত ২৫ জন বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন।
ফলে কমলনাথ সরকার পড়ে যায়। মধ্যপ্রদেশ হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের। হিমাচল নিয়েও তাঁরা একইরকম আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেছেন। এখানেও মুখ্যমন্ত্রী পদে নিয়ে ৪-৫ জন দাবিদার উঠে এসেছে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের এখন প্রধান কাজ, কাকে মুখ্যমন্ত্রী করলে বাকি দাবিদাররা চোটে যাবেন না তা খুঁজে বের করা।