ক্ষমতার লোভে বিজেপিতে যাচ্ছে সিন্ধিয়া, দাবি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ দলত্যাগ করেছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। বর্ষীয়ান নেতার দলত্যাগের পরেই ইস্তফা দিয়েছেন ১৯ জন বিধায়ক। এখন বিজেপিতে যোগ শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা, জানাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। এরই মধ্যে সিন্ধিয়াকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করলেন “কংগ্রেসে রাজার হালে ছিলেন, বিজেপিতে গেলে প্রজা হয়ে থাকতে হবে জ্যোতিরাদিত্যকে” । ক্ষমতার লোভে বিজেপিতে যাচ্ছে সিন্ধিয়া, জানান বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “দলের সম্পাদক থাকাকালীন তাঁকে যোগ্য সম্মান দিয়েছে কংগ্রেস। লোকসভায় পরাজিত হলেও রাজ্যসভার প্রার্থী হিসাবে তাঁকেই পাঠাতে চেয়েছিল দল। কিন্তু মোদির মন্ত্রীত্বের প্রলোভনে পা দিয়ে ভুল কাজ করতে চেলেছে সিন্ধিয়া”। পাশপাশি তিনি এও স্বীকার করেন, জ্যোতিরাদিত্যের দলত্যাগের ফলে নতুন করে সমস্যার সম্মুখীন হবে কংগ্রেস।

আরও পড়ুনঃ সংঘাতের আবহেই প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া

বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, সিন্ধিয়া পরিবারের বিপরীতে গিয়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্যের বাবা মাধবরাও। কংগ্রেসে থাকাকালীন তাঁকে যোগ্য সম্মান দিয়েছে দল। এমনকি একসময় মন্ত্রীপদে ছিলেন তিনি। কিন্তু ক্ষমতার লোভে জ্যোতিরাদিত্য যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা একেবারে মেনে নেওয়ার নয় বলে দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই কংগ্রেস থেকে ইস্তিফা দিয়েছেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। কংগ্রেস ভবনে তাঁর ইস্তফা পৌঁছানো মাত্রই দল বিরোধী কাজের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে ছয় বিদ্রোহী মন্ত্রীর বহিষ্কারের আবেদন জানিয়ে রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনের কাছে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ।

 


একইসঙ্গে কর্ণাটকে থাকাকালীন নিজেদের অসুরক্ষিত বলে দাবি করেছেন ১৯ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। সুরক্ষার দাবী জানিয়ে কর্ণাটকের ডিজিপির কাছে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।

কমলনাথের কেবিনেট থেকে যে ছয় বিদ্রোহী মন্ত্রীরা ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা হলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রী তুলসী সিলাভাট, শ্রম দফতরের মন্ত্রী মহেন্দ্র সিং সিসোদিয়া, পরিবহন মন্ত্রী গোবিন্দ সিং রাজপুত, নারী ও শিশুকল্যান উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ইমারতী দেবী, খাদ্যমন্ত্রী প্রদ্যুত সিং তোমার এবং শিক্ষামন্ত্রী ডঃ প্রভুরা চৌধুরী। এর পাশাপাশি বিধায়ক পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়করা। এখন সরকার টিকিয়ে রাখতে কোন পদক্ষেপ নেয় কংগ্রেস? তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ।

সম্পর্কিত পোস্ট