সময়ের অবসান, বিজেপিতে যোগ দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ সকালেই ২৪ নম্বর আকবর রোডে ইস্তফা জমা দিয়েছেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা ছিল। সন্ধ্যা গড়াতেই সেই ঘটনা ঘটল। বিজেপিতে যোগ দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
৬ জন মন্ত্রী সহ ১১ জন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়করা ব্যাঙ্গালুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পর বাকি ১৯ জন ইস্তফা জমা দেন। ইস্তফা দেন কংগ্রেসের আরও দুই এমএলএ।
অন্যদিকে ছয় বিদ্রোহী মন্ত্রীর বহিষ্কারের আবেদন জানিয়ে রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনের কাছে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। কমলনাথের কেবিনেট থেকে যে ছয় বিদ্রোহী মন্ত্রীরা ইস্তফা দিয়েছেন তাঁরা হলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রী তুলসী সিলাভাট, শ্রম দফতরের মন্ত্রী মহেন্দ্র সিং সিসোদিয়া, পরিবহন মন্ত্রী গোবিন্দ সিং রাজপুত, নারী ও শিশুকল্যান উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ইমারতী দেবী, খাদ্যমন্ত্রী প্রদ্যুত সিং তোমার এবং শিক্ষামন্ত্রী ডঃ প্রভুরা চৌধুরী। কর্ণাটকে থাকাকালীন নিজেদের অসুরক্ষিত বলে দাবি করেছেন ১৯ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। সুরক্ষার দাবী জানিয়ে কর্ণাটকের ডিজিপির কাছে চিঠি দিয়েছেন তাঁরা।
গত বছরেই বিধানসভা নির্বাচনে ২৩০ টি আসনের মধ্যে ১১৪ টি আসন পায় কংগ্রেস, বিজেপির ভাগ্যে জোটে ১০৭ টি আসন। বিএসপি, এসপি এবং নির্দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সরকার গঠন করে কমলনাথ। কিন্তু বছর গড়াতে না গড়াতেই নতুন করে বিপদের সম্মুখীন নতুন সরকার।
২৩ জন বিধায়কের ইস্তফার পর মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের বিধায়কের সংখ্যা ১০০ এবং বিজেপি ১০৭। সরকার গঠন করতে প্রয়োজন ১০৪ টি আসনের। তবে এর পর রাজ্যপাল লালাজি ট্যান্ডন কি সিদ্ধান্ত নেন? তার দিকেও তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।
সকালের ইস্তফাপত্রে সিন্ধিয়া লেখেন, গত ১২ বছর ধরে দলের সঙ্গে তিনি ছিলেন। “নাও ইটস টাইম টু মুভ অন” বলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা। ক্ষমতার লোভে কংগ্রেস ছেড়েছেন সিন্ধিয়া দাবী কংগ্রেস পরিষদীয় নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন যশোধরা সিন্ধিয়া এবং বসুন্ধরা রাজে।