দেশ জুড়ে এনআরআইসি প্রয়োগের কোনও সিদ্ধান্ত এখনও নেয়নি কেন্দ্র, রাজ্যসভায় জানাল স্বরাষ্টমন্ত্রক
বুধবার রাজ্যসভায় এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। উত্তরপ্রদেশের এক সাংসদ সুখরাম সিং যাদবের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানান তিনি।
দ্য কোয়ারি ডেস্ক : দেশ জুড়ে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ ইন্ডিয়ান সিটিজেনশিপ (এনআরআইসি) প্রয়োগ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
প্রায় ৮০২ জন ব্যক্তি রয়েছেন অসমের ডিটেনশন সেন্টারে। ৬ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী সেখানে ডিটেনশন সেন্টারে রয়েছেন ৮০২ ব্যক্তি।
বুধবার রাজ্যসভায় এমনটাই জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। উত্তরপ্রদেশের এক সাংসদ সুখরাম সিং যাদবের এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানান তিনি।
সুখরাম এদিন জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বা ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি)-এর প্রয়োগ সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে চান।
তাঁর জবাবে নিত্যানন্দ রাই বলেন, এখনও পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ ইন্ডিয়ান সিটিজেনশিপ (এনআরআইসি) নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার।
অসমে কতজন মানুষ তাঁদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন জানতে চাওয়া হলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে এনআরসি তালিকায় নাম যুক্ত হওয়ার এবং অনলাইন পরিবারভিত্তিক বাদ পড়ার একটি তালিকা ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট প্রকাশিত হয়েছে।
চুড়ান্ত তালিকায় তিন কোটি ১১ লক্ষ ২১ হাজার চার জনের নাম উঠেছে। অন্যদিকে, ১৯ লক্ষ ছয় হাজার ৬৫৭ জনের নাম বাদ গিয়েছে।
উল্লেখ্য, অসমে বিপুলসংখ্যক মানুষের নাম তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার পর বিভিন্ন রাজ্যে শুরু হয়েছে এনআরসি বিরোধী আন্দোলন।
বাদ যাওয়া মানুষের অধিকাংশ হিন্দু হওয়ায় অসমে বিজেপির অন্দরেই ক্ষোভ বেড়েছে।
ফলে সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিজেপি সরকার এনেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)।
আরও পড়ুন : সিএএ বিরোধীদের ছবি দিয়ে হোর্ডিংকে ‘অন্যায়’ বলল এলাহাবাদ হাইকোর্ট, মুখ পুড়ল যোগী সরকারের
কিন্তু সিএএ দেশের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ আদর্শকে লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিভিন্ন মহল।
আর এই আইনের প্রতিবাদে দেশ জুড়ে তীব্র আন্দো্লনের মোকাবিলা করতেও পারছে না কেন্দ্রীয় সরকার।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নো এনআরসি, নো এনপিআর, নো সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রস্তাব নিয়েছে একাধিক রাজ্য সরকারও।
অন্যদিকে, এই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দল এবং অধিকার রক্ষা সংগঠন।