চলল বুলডোজার, পেটে কিল
অনন্যা ব্যানার্জি: – উচ্ছেদের নামে চলছে অত্যাচার। আইন মেনে কাজ হচ্ছে না। মূখ্যমন্ত্রী ১ মাস বিরত থাকার কথা বলার পরে আবার চলল বুলডোজার । লোকসভা ভোট মিটতে না মিটতেই জমি দখল, হকার উচ্ছেদের কড়া নির্দেশ জারি হলো। যেই মতো কথা সেই মতো কাজ । চলল বুলডোজার ভাঙল দোকান- পাট। সাথে ভাঙল মানুষের মন , পুড়লো হৃদয়! কলকাতা, রামপুরহাট, বোলপুর,বীরভূম,বর্ধমান সব জায়গায় এক দৃশ্য। রাজ্য জুড়ে ‘দখল’ মুক্তি অভিযানের চেষ্টা। নবান্নের বৈঠকে মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলেন, তাঁর লক্ষ্য হকার উচ্ছেদ নয়। রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের সার্ভে চালু থাকবে। আপনাদের কোথায় জায়গা দেওয়া যায়, তা সরকার দেখবে। গোডাউনের ব্যবস্থাও করবে। কিন্তু রাস্তা দখল করা যাবে না। ছোটো বাচ্চারা তাদের বাবাদের দেখে রাস্তায় বসে কান্নার ভেঙে পড়ছে , এই ভেবে তাদের কি আর স্কুল কলেজ এ যাওয়া হবে না,পুজো তে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরা নতুন জামা পরে! কি হবে ওদের ? কোথায় যাবে?
শ্রাবণ মাস প্রায়ই শেষের মুখে চারিদিক এ পুজোর আমেজ , মায়ের আগমনের সুর আকাশে – বাতাসে , প্রকৃতি সুসজ্জিত হয়ে উঠেছে কাশফুলের রাশিতে । গোটা বাংলা মুখ চেয়ে থাকে,দিন গোনা শুরু হয় এক বছরের অপেক্ষার পর একটু আনন্দ একটু উচ্চাস একটু প্রাণ খুলে হাসি,সব কিছু জড়িয়ে।পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার জানানো হয়েছে কিন্তু, তাঁরা কোনও কর্ণপাত করেনি। দোকানপাট নিমেষেই পরিনত হল ধ্বংসস্তূপে। হকারদের দাবি, তাঁরা ফুটপাত দখল করে দোকান করেননি। রাজ্য বিদ্যুৎ , জ্বালানি থেকে শুরু করে আনাজ , সবজি সব কিছুর দাম চরমে পৌঁচেছে। কেও কুড়ি, কেও তিরিশ আবার কেও পঞ্চাশ বছরের দোকান থেকে করে খাচ্ছে, চালাচ্ছে সংসার। আজ তারা নিঃস্ব ! পূজা তো বাদ ই দেওয়া হলো ঠিক মতো খাবার জুটছে কিনা সন্ধেহ। তাদের হাহাকার ,তাদের কান্না গোটা বাংলার মানুষকে বিচলিত করে তুলেছে।
এক এক ব্যবসায়ীদের দাবি ফুটপাত থেকে আরও ১০ ফুট ছেড়ে দোকান করেছি। কিন্তু বুলডোজার না আমাদের বাঁচতে দিন,সময় দিন এটাই নিবেদন। প্রশাসন বা সরকার ব্যাবস্থা করে দিক দেখা হোক, ভাবা হোক ওদের পরিবারের কথা , পেটের কথা ।