চাপে রাজ্য সরকার! উত্তাল সারা দেশ, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেলো রাজ্য সরকার
নিজস্ব প্রতিনিধি: আরজি করে তিলোত্তমাকে নির্বিচারে ধর্ষণ এবং খুন । ওই চিকিৎসককের বিচার চেয়ে গোটা দেশ এমনকি দেশের বাইরেও চলছে বিক্ষোভ। শুধু আরজি কর না বর্ধমানে থেকে শুরু করে সব জায়গায় এক জটিল পরিস্থিতি । বঙ্গে জ্বলছে আগুন। মেয়েদের হাত ধরে জ্বলছে যেমন মশাল তেমনি একহাতে শঙ্খ নিয়ে জেগে উঠেছে ন্যায় বিচারের দাবিতে । সুপ্রিমকোর্টে শুনানি সেই দিকে নজর গোটা দেশের। প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ এর শুনানির সময়সীমা বেঁধে দেই ফার্স্ট রিপর্টিং জমা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে আজ । সিবিআই এখনো অব্দি যা যা তদন্ত করেছে সমস্ত প্রধান বিচারপতির কাছে জমা দিতে হবে। জমা দেয় । সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা স্টেটাস রিপোর্টে জানায়, আরজি করের ঘটনার তথ্যপ্রমাণ করা হয়েছে। মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট। পুলিশকে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতা দেখা যায় না, মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি। আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্ট আজ রাজ্য সরকার ও সিবিআই-এর কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল। ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে যে ভাঙচুর হয়েছিল, তার রিপোর্ট জমা দেয় দুই পক্ষ। রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত রয়েছেন রাজ্য সরকারের ২১ জন আইনজীবী। তাঁদের হয়ে লিড করছেন কপিল সিব্বল। তাছাড়া,জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার বার্তা দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের যাবতীয় সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। প্রধান বিচারপতি চিকিৎসকদের টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঘটনায় প্রথম শুনানিতেই বিরক্তি প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের জন্য আলাদা বিশ্রামের জায়গা নেই, তা নিয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেছিল বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। তিনি এ ও বলেছিলেন একটি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখবে সেই টাস্ক ফোর্স ।