উন্নাও ধর্ষণ মামলায় দোষী কুলদীপ সেঙ্গরের ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনালো আদালত

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে এক যুবতী এবং তার বাবার হত্যার ঘটনায় বিজেপি বহিষ্কৃত বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারকে ১০ বছরের সাজা ঘোষণা । সেইসঙ্গে ঘটনায় সঙ্গে জড়িত আরও এক দোষী কুলদীপের ভাই অতুল সেঙ্গারকেও একই সাজা শোনায় আদালত। পাশপাশি দু’জনকে ১০ লক্ষ টাকা করে নির্যাতিতার পরিবারকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে দিল্লির আদালত।

শুধুমাত্র কুলদীপ সেঙ্গার এবং তাঁর ভাই অতুল সেঙ্গারকেই নয়, যে দুই পুলিশ অফিসার নির্যাতিতার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিয়েছে আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধেও একই সাজা শুনিয়েছে আদালত।

আরও পড়ুনঃ #CoronaVirusUpdateসংক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি ট্রম্প প্রশাসনের

গত বছরের ডিসেম্বরেই কুলদীপ সেঙ্গরের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা শোনানো হয়। সেইসঙ্গে নির্যাতিতার পরিবারের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করে আদালত।

গত বছরের অগাস্ট মাসে নির্যাতিতার বাবাকে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আদালতের তরফে জানানো হয়, কোনও একটি দেশি বন্দুক রাখার অভিযোগ এনে তাঁকে বেধড়ক মারধোর করে পুলিশ। নির্যাতিতার মামলাকে ধামা চাপা দেওয়ার জন্য এটি একপ্রকার ষড়যন্ত্র বলে দাবী করে আদালত। নির্যাতিতার বাবার মৃত্যুর পর তাঁর দেহে ১৮ টি ঘায়েল এর চিহ্ন দেখেই তা অনেকটা পরিষ্কার হয়।

দিল্লিতে থাকাকালীন উন্নাওয়ের নিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন কুলদীপ। পুর্বপরিকল্পিত ভাবেই নির্যাতিতার বাবাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে মারধোর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।

আরও পড়ুনঃ সিন্ধিয়ার দলত্যাগ, গুরুত্ব না দিলে গভীর সঙ্কটে পড়বে কংগ্রেস

উন্নাও ঘটনার প্রথম দিকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাড়ির সামনে নির্যাতিতা গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলে তা জনসমক্ষে চলে আসে। ঠিক তার পরের দিনেই নির্যাতিতার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা অস্ত্র মামলা দায়ের করে পুলিশ। এর আগে পেটের যন্ত্রনার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নির্যাতিতার বাবা। জেল থেকে হাসপাতালে নিয়মিত চেক-আপের জন্য যাওয়ার সময়েই তাঁকে হত্যা করে কুলদীপ ভাই অতুল সেঙ্গার।

শুক্রবার রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি ধর্মেশ শর্মা জানিয়েছেন, নির্যাতিতা তাঁর বাবাকে হারিয়েছে। সে আর কখনও বাড়ি ফিরবে না। পরিবারে এখনও চার শিশু রয়েছে যার মধ্যে তিনজন বালিকা। সমস্ত কিছু ভেবেই এই রায় ঘোষণা করেছে আদালত।

সম্পর্কিত পোস্ট