বিদ্রোহী বিধায়কদের দেখা না মেলায় ধর্না, দিগ্বিজয় সিংকে আটক করল পুলিশ

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ আলোচনার শিরোনামে আবারও মধ্যপ্রদেশ। বুধবার মধ্যপ্রদেশের আস্থা ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা দেশ। তারই মধ্যে ঘটে গেল আরও একটি ঘটনা। বুধবার সকালে ব্যাঙ্গালুরুর হোটেলে বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে যান দিগ্বিজয় সিং। কিন্তু হোটেলে হোটেলে ঢোকার আগেই তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। পরে হোটেলের বাইরে ধর্নায় বসলে তাঁকে আটক করা হয়।

বুধবার সকালেই ব্যাঙ্গালুরু পৌঁছন দিগ্বিজয় সিং। বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে রামাদা হোটেলে। যেখানে মধ্যপ্রদেশের ১৯ জন বিদ্রোহী বিধায়করা রয়েছেন। কিন্তু ঢোকার মুখেই তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। পরিবর্তে ধর্নায় বসেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। সেখানেই আমরণ অনধনের দাবী জানান তিনি।  কিছুক্ষণ পরে তাঁকে আটক করে অমরুত্থালি থানার পুলিশ।

আরও পড়ুনঃরাজ্যসভার পঞ্চম আসনে জয় নিশ্চিত বিকাশের, মনোনয়ন বাতিল দীনেশের

এদিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে ১৯ জন বিধায়ক হোটেলে রয়েছেন, তাঁদের আটক করে রাখা হয়েছে। অনেকের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং বেশ কিছুজনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁদের ফোন কেড়ে নিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা আতঙ্কে বিধানসভার অধিবেশন ২৬ মার্চ অবধি পিছিয়ে দেন এনপি প্রজাপতি। এরপরেই দ্রুত আস্থা ভোটের দাবীতে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে চিঠি লেখেন রাজ্যপাল লালাজি টান্ডান।

 

পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দ্রুত রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ করে অনাস্থা প্রস্তাব আনুক বিরোধী পক্ষ। দাবী জানিয়েছিলেন তিনি।

পাল্টা বিরোধী দলনেতা গোপাল ভাগর্ব জানিয়েছিলেন, মধ্যপ্রদেশের সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিচ্ছে না। সরকার বিধানসভায় শক্তিপরীক্ষা পিছিয়ে দিচ্ছে। পাশপাশি মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের ইস্তফার দাবী তোলেন তিনি।

আস্থাভোট পিছিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। বুধবার এই নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্রোহী বিধায়কদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তার আগে ব্যাঙ্গালুরুর হোটেলের ঘটনা আরও একবার মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক ডামাডোলকে আলোচনার মধ্যমণি করে তুলেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট