শুক্রবার বিকেল ৫ টার মধ্যে আস্থা ভোট করতে হবে কমলনাথ সরকারকে

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্কঃ মধ্যপ্রদেশ নাটকের এবার ভবলিলা সাঙ্গ হওয়ার সময় হয়ে এসে গিয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫ টার মধ্যে আস্থা ভোট করতে হবে মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথকে। সাফ নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।  সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি।

লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে আস্থা ভোট হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একেবারে জনসমক্ষে বিধায়করা হাত তুলে ভোট দেবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

 

চলতি মাসেই মধ্যপ্রদেশের বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস থেকে সরে যাওয়ার পরেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন সিন্ধিয়া ঘনিষ্ঠ ২২ জন বিধায়ক। এরপরেই সরকার ধরে রাখতে চিন্তায় পড়ে মুখ্যমন্ত্রী কমনাথ।

আরও পড়ুনঃ বিদ্রোহী বিধায়কদের দেখা না মেলায় ধর্না, দিগ্বিজয় সিংকে আটক করল পুলিশ

স্পিকার এনপি প্রজাপতির উপস্থিতিতে সোমবার আস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা আতঙ্কের জেরে আস্থা ভোটের দিন পিছিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী কমনাথের সরকার। এরপর অবিলম্বে আস্থা ভোটের দাবীতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন রাজ্যপাল লালাজি টান্ডান। তড়িঘড়ি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। পড়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, সংবিধআন মেনেই কাজ করবে কমলনাথ সরকার।

মধ্যপ্রদেশে দ্রুত সরকার গঠনের দাবীতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। দ্রুত আস্থা ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে বলে দাবী জানায় শিবরাজ সিং চৌহান। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি। আগামী দিনে মধ্যপ্রদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে বিজেপি সরকার আসতে চলেছে বলে দাবী করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

 

বুধবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির আগে ব্যাঙ্গালুরুতে ১৯ জন বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে উপস্থিত হন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং। ব্যাঙ্গালুরুতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান কর্ণাটকের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডি শিবকুমার। সেখান থেকে রামাদা হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। হোটেলের বাইরেই আমরণ অনশনের দাবী করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। পড়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুনঃ সিন্ধিয়ার দলত্যাগ, গুরুত্ব না দিলে গভীর সঙ্কটে পড়বে কংগ্রেস

যদিও মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকার ভাঙার জন্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দলবদলকেই দোষারোপ করছেন অনেকেই। রাজনৈতিক মহলের মতে, মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসলেও সেভাবে গুরুত্ব পাননি সিন্ধিয়া। পাশপাশি মধ্যপ্রদেশের একাধিক কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব থাকায় সিন্ধিয়ার গুরুত্ব অনেকাংশে কমে গিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তাই দলবদল করতে বাধ্য হন তিনি।

যদিও বিদ্রোহী বিধায়কদের অনেককেই জোর করে ব্যাঙ্গালুরুতে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে দাবী কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের। বিদ্রোহী বিধায়কদের অনেকেই কংগ্রেসে ফিরে আসবে বলে আশাবাদী কংগ্রেস।

কর্ণাটকের পর মধ্যপ্রদেশের সরকার হাতছাড়া হলে সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করবেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। পাশপাশি মধ্যপ্রদেশের অবস্থা দেখেই বিহার এবং বাংলার নির্বাচনে আসন সমঝোতায় সেভাবেই কংগ্রেসকে এগিয়ে রাখবে শরিক দল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

সম্পর্কিত পোস্ট