#CoronaUpdate দশ মিনিটে এক জন নাগরিকের মৃত্যু হচ্ছে ইতালিতে
চিনে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখে বিশেরজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন মৃতের সংখ্যার নিরীখে এশিয়াকে ছাপিয়ে যাবে ইউরোপ ।
দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক- চিনে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখে বিশেরজ্ঞরা আগেই বলেছিলেন মৃতের সংখ্যার নিরীখে এশিয়াকে ছাপিয়ে যাবে ইউরোপ ।
বোধহয় সেই ভবিষ্যতবাণী মিলে গেল । করোনা-সংক্রমণে মৃত্যুর নিরীখে চিনকে পেরিয়ে গেল ইতালি ।
নোভেল করোনার মৃত্যুমিছিল ইতালিতে
নোভোল করোনার জেরে চিনে মোট মৃতের সংখ্যা বর্তমানে ৩,২৪৫ । ইটালিতে ৪,০৩২ ।
ITALY 🇮🇹 : Italian Prime Minister Giuseppe Conte: “We lost control, we killed the epidemic physically and mentally, I couldn’t understand what we would do, all the solutions on the ground ended, and the solution is up to the sky. pic.twitter.com/WnCtLDDUK9
— SCOTT (@SCOTT76809950) March 20, 2020
গোটা দেশ জুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার । স্কুল বন্ধ থাকবে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত ।
২৫ মার্চ পর্যন্ত ইটালিতে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল,বাড়ানো হয়েছে তার সময়সীমাও ।
#CoronaVirusFrance নোভেল করোনায় মৃত্যুমিছিল ফ্রান্সে
গোটা বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ৮২৮ । আক্রান্ত ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭০৩। তবে সেরে উঠেছেন কমপক্ষে ৮৬ হাজার ৬৭৬ জন।
নোভেল করোনার মৃত্যুমিছিল ইতালিতে,সঙ্কটজনক পরিস্থিতি ইরানে
অন্যদিকে, ইরানের পরিস্থিতিও যথেষ্ট সংকটজনক । শুক্রবার ১৪৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে ।
দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি দশ মিনিটে সেখানে এক জন নাগরিকের মৃত্যু হচ্ছে । মৃতের সংখ্যা ১,২৮৪ । আক্রান্ত ১৮ হাজারেরও বেশি।
March16:Death toll of #Coronavirus exceeds 5500 in 186 cities across #Iran
with new #COVID19 deaths reported in following Provinces
Babol:+250
Ilam:+120
E.Azerbaijan:+150
Tehran:750
Gilan:681
Khorasan Razavi:457
Yazd:80
situation in Mazandaran is critical w/70deaths in past 24hrs pic.twitter.com/4d7pXfdyE4— Iran Coronavirus Update (@IranConvention) March 17, 2020
ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ইরানে মৃতদের মধ্যে এক জন ভারতীয় রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ২০১ জন ভারতীয়কে ইরান থেকে ফেরানো হয়েছে ।
তবে সেখানে এখনও বেশকিছু ছাত্রছাত্রী ও পুণ্যার্থী রয়েছেন বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে।
ইউরোপের পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক । ইটালি, স্পেন, জার্মানি আর ফ্রান্সের সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটেনেও ক্রমাগত বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা ।
করোনাভাইরাসের জেরে ব্রিটেনে ইতিমধ্যেই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে । সবচেয়ে খারাপ অবস্থা লন্ডনের ।
স্কুল বন্ধ হলেও বরিস জনসনের সরকার এখনও লকডাউনের পথে হাঁটেনি । তবে শহর জুড়ে টিউব পরিষেবায় রাশ টানা হচ্ছে ।
কমপক্ষে ৪০টি টিউব স্টেশন বন্ধ রাখার কথা ভাবা হচ্ছে । বিশেষ করে কমানো হচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ড টিউবের সংখ্যা । কমছে বাসের সংখ্যাও ।
খুব প্রয়োজন ছাড়া লন্ডনবাসীকে বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করেছেন শহরের মেয়র সাদিক খান ।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এক বার্তায় আরও কঠোর পদক্ষেপ করা হতে পারে সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন ।
তিনি বলেছেন, ‘‘আমি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে প্রয়োজনে নিজেকে ঘরবন্দি করার ক্ষেত্রে সংশয় থাকার কথা নয়।’’
কাফে, পাব, রেস্তরাঁ কী ভাবে বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা ।
পিছিয়ে নেই স্পেন
ইটালির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে করোনায় মৃত্যু বাড়ছে স্পেনে । ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ বেড়েছে । বর্তমানে মৃতের সংখ্যা ৭৬৭ ।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র মাদ্রিদ শহরেই প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৮ জন সংক্রমিত । আক্রান্ত ১৭ হাজার ১৪৭ জন। জার্মানিতেও বেড়ে চলেছে সংক্রমণ । সেদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ।
গত এক দিনেই নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৮০০ মানুষ । মৃতের সংখ্যা সেখানে এখনও পর্যন্ত ২০ ।
ছোট ছোট শহরগুলিকে ইতিমধ্যেই তালাবন্দি করা হয়েছে । বড় শহরগুলিও সেই পথে হাঁটবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ।
বার্লিনের মেয়র মাইকেল মুলার বলেছেন, ‘‘শহর তালাবন্ধ করে দেওয়ায় সত্যিই কাজ হতে পারে। তাই আগামী কয়েক দিনে তেমনটা যে করা হবে না, তা এখনই বলতে পারছি না। সবার আগে পার্কগুলি বন্ধ করা হবে।’’
#CoronaVirusUpdate,করোনার সেকেন্ডহোম ইতালি, দেশবাসী মজেছে ইন্টারনেটে
গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে আমেরিকায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ।
মার্কিন বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শুধুমাত্র প্রবীণেরাই নন, কমবয়সিদেরও কাবু করছে নোভেল ভাইরাস ।
মে মাসে নির্ধারিত কান চলচ্চিত্র উৎসব হবে না বলে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে। তা হতে পারে জুনের শেষে ।
একই ভাবে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে ।
হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চিনের মতো দেশে সংক্রমণ কাবু করা গেলেও বিদেশ ফেরত নাগরিকদের মাধ্যমে ওই সব দেশে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ।
সংক্রমণ পরীক্ষা না করা হলে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হবে । এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস ।