আর্থিক সঙ্কট কাটাতে কেন্দ্রের ত্রাণ চাইছে শিল্পমহল

তাদের প্রস্তাব, অর্থনীতিকে সঙ্কট থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে ২ লক্ষ কোটি টাকা ত্রাণ প্রকল্প আনার কথা বিবেচনা করুক কেন্দ্র । 

দ্য কোয়ারি ওয়েবডেস্ক- ২০১৯-২০ অর্থবর্ষ খুব একটা আশানুরূপ কাটে নি । অর্থনীতির শ্লথ গতির প্রভাব বজায় ছিল বাজারের উপর ।

সকলেই যখন বেহাল অর্থনীতির সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত ঠিক তখনই হাজির নভেল করোনা ভাইরাস ।

জোড়া হামলার ফল খুবই ভয়ানক হতে চলেছে ।

কেন্দ্রের ত্রাণ চাইছে শিল্পমহল, করোনার জেরে কমল দেশের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস

একের পর এক আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন সংস্থা, উপদেষ্টা সংস্থা, ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক ইঙ্গিত দিয়ে চলেছে, পরের অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধি যা হবে বলে ভেবেছিল তারা, তার থেকে কমবে । 

#covid19 করোনায় ছোঁয়ার ব্যাপক ধস শেয়ার বাজারে

মুডি’জ়, ক্রিসিল, ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার পরে শুক্রবার ফিচ সেই যুক্তিতেই পূর্বাভাস কমিয়ে করেছে ৫.১% । 

ঠিক এই ভাবে কাহিল চাহিদা ও অর্থনীতির ঝিমুনির কারণে চলতি অর্থবর্ষেও (২০১৯-২০) বৃদ্ধির পূর্বাভাসে একাধিকবার কাঁচি চালাতে বাধ্য হয়েছে এই সব সংস্থা ।

তবে তখন অনেকেই আগামী অর্থবর্ষে বৃদ্ধিতে কিছুটা গতি আসার ইঙ্গিত দিয়েছিল । কিন্তু তাতেও বাধ সাধল করোনা।

 শুক্রবার বিশ্ব অর্থনীতির পূর্বাভাস শূন্যে নামিয়ে ব্যাঙ্ক অব আমেরিকার দাবি, করোনার ধাক্কা আর্থিক মন্দা ঘনিয়েছে । এই নিয়ে টানা তিন দিন ওই হার ছাঁটল তারা ।

কেন্দ্রের ত্রাণ চাইছে শিল্পমহল,প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি

পরিস্থিতি আঁচ করে দেশের বণিকসভা আর্থিক ত্রাণের দাবি জানিয়ে শুক্রবার চিঠি লিখেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।

তাদের প্রস্তাব, অর্থনীতিকে সঙ্কট থেকে বাঁচাতে অবিলম্বে ২ লক্ষ কোটি টাকা ত্রাণ প্রকল্প আনার কথা বিবেচনা করুক কেন্দ্র । 

ত্রাণের টাকা প্রধানত বিপর্যস্ত নাগরিকদের হাতে সরাসরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক ।

এর আগে ইন্ডিয়ান চেম্বার এবং অ্যাসোচ্যামও কেন্দ্র ও শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণার দাবি জানিয়েছে ।

সওয়াল করেছে অনাদায়ি ঋণ সংক্রান্ত নিয়ম শিথিলের । সহ্কটজনক পরিস্থিতিতে শিল্প মহলের আর্জি, করোনার ধাক্কা যে সব ক্ষেত্রে সব চেয়ে বেশি লেগেছে সেগুলির সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের আর্থিক সাহায্য দিক সরকার। 

দীর্ঘ এক বছরের উপর অর্থনীতির বেহাল দশা ভারতে কল-কারখানার উৎপাদন কেড়েছে । 

পণ্যের চাহিদার অভাবে ব্যবসা মার খাওয়ায় বেড়েছে বেকারত্ব । এ বার করোনা কামড় বসাল হোটেল, রেস্তরাঁ, পর্যটনের মতো পরিষেবায় ।

রেহাই পায়নি পণ্যের খুচরো বিক্রিও । 

সিআইআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘চূর্ণবিচূর্ণ অবস্থা হতে চলেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের। জোগানের সুতোটাই কার্যত ছিঁড়ে গিয়েছে।’’

করোনার প্রভাব স্টক মার্কেটেও, রেকর্ড পতন সেনসেক্সের

এ দিন উপদেষ্টা সংস্থা ক্রিসিলের মত, ভারতের বাজারে নগদের জোগান অবিলম্বে না-বাড়লে পস্তাতে হবে । 

কেন্দ্র অবশ্য সেই ইঙ্গিত দিয়েছে এ দিন । তবে শিল্পমহল চাইছে অবস্থা ফেরাতে সুদ ছাটার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। 

আর ফিচের দাবি, চিনের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। উৎপাদনে ভারত এগোবে কী করে? পড়শির কাঁচামাল ছাড়া যে উপায় নেই ! বিশেষত বিদ্যুতিন পণ্য ও যন্ত্রপাতিতে।

সম্পর্কিত পোস্ট